শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১


মৃত্যুর পর ভয়-চিন্তা থাকবে না যাদের

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত:৬ মে ২০২৪, ২২:০৬

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ইসলামি আকিদার অন্যতম অনুষঙ্গ পরকাল। মৃত্যুর পর থেকে পরকাল শুরু হয়। পরকালীন সুখ বা শাস্তি নির্ভর করে দুনিয়ার আমলের ওপর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বস্তুতঃ তোমরা পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দাও, অথচ পরকাল হচ্ছে উত্তম ও স্থায়ী।’ (সুরা আলা: ১৬-১৭) মৃত্যুর পরে কোনো আমল নেই। তাই দুনিয়াতেই আমলের পাল্লা ভারী করতে হয় একজন মুমিনকে। আর পরকালে ভয়হীন, দুশ্চিন্তাহীন থাকবেন কিছু মানুষ। তারা কারা? কোরআনুল কারিমের বর্ণনায় তারা হলেন—

আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী নেক আমলকারী

মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘...যারা আল্লাহ ও আখেরাতের ওপর ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে, তাদের জন্য তাদের রবের কাছে পুরস্কার আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ৬২)

আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আত্মসমর্পণকারী

যারা আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করবেন, তাদের কোনো ভয় নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হ্যাঁ, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয়, তার প্রতিফল তার রবের কাছে আছে। আর তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ১১২)

যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করেন ও জাকাত দেন

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে ও জাকাত দেয়, তাদের প্রতিফল তাদের রবের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৭৭)

যারা নিজেকে সংশোধন করে নেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘...কেউ ঈমান আনলে এবং নিজেকে সংশোধন করলে তার কোনো ভয় নেই এবং সে দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা আনআম: ৪৮)

সৎপথের নিদর্শন অনুসারীদের কোনো ভয় নেই। বলা হয়েছে, ‘...যারা আমার সৎপথের নিদর্শন অনুসরণ করবে, তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ৩৮)

মুত্তাকি বা আল্লাহকে ভয় করেন যারা

আল্লাহর ভয় যাদের অন্তরে আছে, তাদের কোনো ভয় নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং নিজেদের সংশোধন করে নেয় তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা আরাফ: ৩৫)

যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা আল্লাহর পথে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে অতঃপর ব্যয়ের কথা বলে বেড়ায় না এবং কষ্টও দেয় না, তাদের পুরস্কার তাদের রবের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৬২)

প্রকাশ্যে-গোপনে যারা দান করেন

ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে-দিনে গোপনে ও প্রকাশে ব্যয় করে তাদের পুণ্যফল তাদের রবের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪)

আল্লাহর ওলিরা

‘সব সময় আল্লাহ আমাকে দেখছেন’—এই ধ্যান ও ভয় যাঁর মধ্যে কাজ করে এবং নেক আমল করেন তিনিই আল্লাহর অলি ও খাঁটি বান্দা। ইরশাদ হয়েছে, ‘জেনে রেখো! আল্লাহর অলিদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না।’ (সুরা ইউনুস: ৬২)

ঈমানের ওপর অবিচল ব্যক্তিরা

ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা বলে, আমাদের রব আল্লাহ অতঃপর অবিচল থাকে তাদের কাছে (মৃত্যুর সময়) অবতীর্ণ হয় ফেরেশতা। এবং তারা বলে, তোমরা ভীত হয়ো না, চিন্তিত হয়ো না। আর তোমাদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তার জন্য আনন্দিত হও।’ (সুরা হা-মিম সাজদা: ৩০)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে উল্লেখিত শ্রেণিগুলোর অন্তর্ভুক্ত করে দিন। বিশুদ্ধ ঈমান ও ইসলামি অনুশাসন অনুযায়ী জীবন যাপনের তাওফিক দিন। আমিন।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৫৮ ভোর
যোহর ১১:৪৫ দুপুর
আছর ০৩:৩৬ বিকেল
মাগরিব ০৫:১৫ সন্ধ্যা
এশা ০৬:৩১ রাত

শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪