শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)
১০ জিলহজ ফজরের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে কারো কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাকে কোরবানি দিতে হবে। জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ—এই তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কোরবানি করা উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।’ (রদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৬)
এই তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে পরে কোরবানির নিয়তে পশু জবাই করলেও কোরবানি আদায় হবে না। জবাই করে ফেললে পুরো গোশত সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায় তাহলে যে পরিমাণ মূল্য হ্রাস পেল তা-ও সদকা করতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০২; আদ্দুররুল মুখতার; ৬/৩২০-৩২১)
ওয়াজিব কোরবানি যথাসময়ে দিতে না পারা ব্যক্তি কোরবানির পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি পশু ক্রয় করেছিল, কিন্তু কোনো কারণে কোরবানি দেওয়া হয়নি তাহলে ওই পশু জীবিত সদকা করে দিতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৪; ফতোয়ায়ে কাজিখান: ৩/৩৪৫)
পরবর্তী বছর দুইটি কোরবানি করার দ্বারা কোরবানির কাজা আদায় হবে না। বরং বকরির মূল্য সদকা করার মাধ্যমেই কেবল কাজা আদায় হবে। (ফতোয়ায়ে মাহমুদিয়া: ২৬/৩৪৭)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানির যাবতীয় কাজকর্ম সুন্নাহ অনুযায়ী পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)