শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মুসলমানের মৃত্যুতে মাগফেরাতের জন্য মৃতদেহ সামনে রেখে বিশেষ নিয়মে যে দোয়া করা হয় তারই নাম জানাজা। আমাদের সমাজে এটি জানাজার নামাজ হিসেবেই বেশি পরিচিত। এই ইবাদতের কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। যেমন- চার তাকবির দেওয়া, আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ, নবীজির ওপর দরুদ পাঠ, মৃতব্যক্তির জন্য দোয়া করা ইত্যাদির সমন্বয়ে জানাজা সম্পন্ন করা হয়।
এরই অংশ হিসেবে জানাজার কাতারসংখ্যা বিজোড় হওয়াও জরুরি বলে মনে করেন কেউ কেউ। ফলে তারা জানাজার কাতার জোড় সংখ্যা হলে তা বিজোড় করে দেন। আসলে তাদের এ ধারণা সঠিক নয়।
একটি হাদিসে এসেছে, ‘মালেক ইবনে হুবায়রা (রা.) যখন দেখতেন জানাজায় উপস্থিতির সংখ্যা কম, তখন তিনি তাদেরকে তিন কাতারে ভাগ করে দিতেন এবং বলতেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, যে মৃতের ওপর তিন কাতার মুসল্লি জানাজা পড়বে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত’। (জামে তিরমিজি: ১০২৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩১৬৬)
এ হাদিসের ভিত্তিতে ফকিহগণ বলেছেন, জানাজার নামাজে মুসল্লিসংখ্যা কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে দাঁড় করানো উত্তম। (শরহুল মুনইয়াহ: ৫৮৮; হালবাতুল মুজাল্লি: ২/৬১৩; ফাতহুল বারি: ৩/২২২; রওজাতুত্তালেবিন: ২/১৩১)
এ থেকে হয়ত কেউ কেউ বুঝেছেন এর দ্বারা বিজোড় উদ্দেশ্য। আসলে এর দ্বারা জানাজার নামাজে তিন কাতারের কম না করা এবং অন্তত তিন কাতার করা যে মোস্তাহাব তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু কাতার তিনের অধিক হলে বেজোড় করা জরুরি—এ কথা প্রমাণিত হয় না। তাই তিনের অধিক কাতারের ক্ষেত্রে বিজোড়ের প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি নয়।
মুসল্লিসংখ্যা বেশি হলে তিন বা তিনের অধিক জোড় বা বিজোড় যত প্রয়োজন কাতার করা যাবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)