বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রার্থনা কবুল করতে ভালোবাসেন। তিনি বান্দাদের দোয়া করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০) হাদিসে এসেছে, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)
কিছু বান্দার দোয়া আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেন না। তাদের একজন হলেন ন্যায়পরায়ণ শাসক। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের লোকের দোয়া কখনও ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১. রোজাদার যখন ইফতার করে, ২. ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, ৩. মজলুমের দোয়া।’ (তিরমিজি: ৩৫৯৮)
একজন শাসকের অন্যতম গুণ হলো ন্যায়পরায়ণতা। মহান আল্লাহ নিজেই একজন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ। কেয়ামতের কঠিন পরিস্থিতিতে গোটা সৃষ্টিজগতের সামনে তিনি ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত পেশ করবেন। এ ব্যাপারে কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ কারো ওপর অণুপরিমাণও জুলুম করেন না।’ (সুরা ইউনুস: ৪৪)
আর যারা ন্যায় ও ইনসাফের সঙ্গে বিচারকার্য পরিচালনা করে, তাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর ভালোবাসা। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তারা ফিরে আসে তবে উভয় দলের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে মীমাংসা করে দাও এবং সুবিচার করো, নিশ্চয় আল্লাহ সুবিচারকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা হুজরাত: ৯)
সুতরাং সাধ্যমতো ন্যায়বিচার বা ইনসাফ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা প্রতিটি শাসকেরই কর্তব্য। কারণ মহান আল্লাহ অন্যায়-অত্যাচার পছন্দ করেন না। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তিদের একজন হলো, অত্যাচারী শাসক। রাসুল (স.) বলেছেন, ‘চার ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা অপছন্দ করেন— ১. অধিক হারে শপথকারী বিক্রেতা; ২. অহংকারী দরিদ্র; ৩. বৃদ্ধ ব্যভিচারী এবং ৪. অত্যাচারী শাসক।’ (নাসায়ি: ২৫৭৬)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব শাসককে ন্যায়পরায়ণ হওয়ার এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)