শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খাবারের সময় রাসূল সা.-এর সামনে যা আসতো তিনি তা তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে নিতেন। আর যা নেই তা নিয়ে ভাবতেন না। হালাল ও পবিত্র সবধরনের খাবার খেয়ে নিতেন। তবে অরুচিকর কিছু হলে তা হারাম না হলেও বিরত থাকতেন।
তিনি কখনো কোনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। ভালো মনে হলে খেতেন, নইলে এমনভাবে রেখে দিতেন যেন তিনি সেটা অনভ্যাস বশত রেখে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত অরুচির কারণে তিনি কোনো খাবার কারো জন্য অবৈধ বলেননি।
হালুয়া ও মধু তাঁর প্রিয় খাবার ছিল। তিনি উট, ভেড়া, মুরগী, দুম্বা, খরগোশের গোশত খেতেন। বকরির গোশতও খেতেন রাসূল সা.। সামুদ্রিক জীব, মাছও খেয়েছেন।
কাচা-পাকা খুরমা খেতেন তিনি। দুধ, ছাতু, পানি মেশানো মধুও খেতেন রাসূল সা.। খেজুর ভেজানো পানি, দুধ ও আটা দিয়ে তৈরি পিঠা খেতেন। পনীর, পাকা খেজুর, সিরকা, গোশতের ঝোল, চর্বি দিয়ে রান্না করা ঈহালা দিয়ে রুটি খেতেন।
ভূনা গোশত, কলিজা খেতেন। লাউ তরকারিও খেতেন রাসূল সা.।
রাসূল সা.-এর অভ্যাসই ছিল ক্ষুধা মেটানোর জন্য তিনি যা পেতেন খেতেন, কিছু না থাকলে কখনো রাগারাগি বা মন্দ আচরণ করতেন না। ক্ষুধার যন্ত্রণায় তিনি পেটে পাথরও বেধেছিলেন।
(যাদুল মাআদ, ১/৯৭)
জীবনের প্রতিটি বিষয়ের মতো খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও রাসূল সা.-এর সুন্নত রয়েছে। রাসূল সা. যেভাবে খাবার খেতেন ও খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে তার সুন্নত ছিল—
>> ডান হাত দিয়ে খাওয়া।
>> দোয়া পড়া।
>>পড়ে যাওয়া খাবার তুলে খাওয়া।
>> আঙুল চেটে খাওয়া।
>> হাত চেটে খাওয়া।
>> খাবার খাওয়া শেষে দোয়া পড়া।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)