শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
তিনদিন ধরে নিখোঁজ এক নারীকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে যা ঘটল, তা দেখে চোখ কপালে স্থানীয়দের! ১৬ ফুট পাইথনের পেট কাটতেই উদ্ধার হলো ওই নারীর দেহ।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য ইন্দোনেশিয়ায়। শনিবার ওই নারীর দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পাইথনের হামলায় মৃত নারীর নাম ফরিদা। তিনি মধ্য ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলায়েসি প্রদেশের কালেম্পাং গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার, স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে মরিচ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও ফরিদা না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন তার স্বামী ও আত্মীয়রা।
নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয় পুলিশের কাছে। শনিবার বাড়ির থেকে কিছুটা দূরের জঙ্গলে তার ব্যবহার করা জিনিস দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পরিবারে। তারা সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করতেই একটি পাইথনকে দেখতে পান।
পাইথনটি ঘাপটি মেরে পড়েছিল। তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। কারণ, সুলায়েসি প্রদেশে এর আগেও জ্যান্ত মানুষকে পাইথন গিলে নিয়েছিল বলেই খবর রয়েছে।
বৃহৎ আকারের সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন গ্রামবাসীরা। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ তাদের! বিশালাকার সাপটির পেট থেকে উদ্ধার হয় ফারিদার দেহ।
নারীর স্বামী বলেন, গ্রামবাসীরা জঙ্গলে ফারিদার ব্যবহৃত জিনিস দেখতে পান। খোঁজাখুঁজি করতেই একটি পাইথন নজরে আসে। সন্দেহ হতেই সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পেট থেকে পোশাক-সহ পরিহিত অবস্থায় ফারিদার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বন দপ্তরের কর্তারা জানান, এই ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ায় অতীতে এই রকম ঘটেছে। গত বছরেই সুলায়েসির তিনানগিয়া জেলায় অজগরের পেট থেকে এক কৃষকের দেহ উদ্ধার হয়। ২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব সুলায়েসির মুনা শহরে এক নারীকে গিলে খায়।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)