শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সরকারিভাবে বিভিন্ন সময় সাইবার জালিয়াতি নিয়ে সচেতন করা হলেও মানুষ এখনও সেভাবে সচেতন হয়ে ওঠেননি। বারবার সাইবার জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি ভারতের মুম্বাইয়ের ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি সাইবার অপরাধীদের ফাঁদে পা দিয়ে হারিয়ে ফেলেছেন ৯ লাখ টাকা।
পিটিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতারিত ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাসে প্রধান বিদ্যুতিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ১৬ সেপ্টেম্বর তার মোবাইল ফোনে ভয়েস মেসেজ পান। যেখানে তাকে জানানো হয়, তার ফোন নম্বরটি ২ ঘণ্টার মধ্যে ব্লক হয়ে যাবে। আর তিনি যদি নম্বরটি ঠিক রাখতে চান, তাহলে শূন্য (০) চেপে পরবর্তী প্রশ্নের জন্য নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে। এরপর ওই ব্যক্তি নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে শুরু করেন।
পরবর্তীতে তিনি প্রতারকদের সঙ্গে ভিডিও কলও করেন। আর ভিডিও কলে প্রতারকের তরফ থেকে এক ব্যক্তি নিজেকে সিপিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাকে জানান তিনি মানি লন্ডারিং মামলায় জড়িত আছেন। প্রতারক আরও দাবি করেন, তার নম্বরটি ৫.৮ মিলিয়ন টাকার আর্থিক তছরুপের মামলার সঙ্গে যুক্ত। এছাড়াও, বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে প্রতারকেরা তাকে জানায়, তার নম্বরটি ২৪৭টি অন্যান্য অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত আছে, যার মধ্যে প্রতারিতের পরিচিত ব্যবসায়ী নরেশ গোয়েলের নামও আছে।
এরপর ওইদিন দুপুর ২টা নাগাদ তিনি আরও একটি কল পান। যাতে প্রতারকেরা জোর করে তার পরিবার, আর্থিক সম্পত্তি এবং ব্যক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে জানতে চান। এই কলটি প্রায় ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত চলেছিল। আর এর পর তারা পুনরায় ভিডিও কলও করেন।
প্রতারকদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভুক্তভোগীকে ডিজিটালি গৃহবন্দি করা। তাছাড়াও তারা ভয় দেখানোর জন্য ভুয়া অনলাইন আদালত স্থাপন করেন। যেখানে এক প্রতারক নিজেকে বিচারক বলেও দাবি করেন। আর সেই বিচারক ভুক্তভোগীকে জানায়, তার মামলা নিষ্পত্তির জন্য তাকে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। অনবরত চাপ দেওয়ার পর ওই ব্যক্তি বাধ্য হয়ে প্রতারকদের দাবি অনুযায়ী টাকা পাঠান। তিনি খোঁজ খবর নিয়ে পরে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
প্রতারকদের থেকে নিরাপদ থাকতে কি করা যেতে পারে?
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)