রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস করতে পারবে কি পারবে না তা নিয়েই বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই।
দশকের পর দশক ধরে সেই নিয়ে গবেষণা চলছে। নানা রকম দাবি-দাওয়াও সামনে এসেছে এ পর্যন্ত। এবার এই বিষয়ে বড় ঘোষণা করলেন চিত্র পরিচালক সাইমন হল্যান্ড। যে সে চিত্র পরিচালক নন সাইমন। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হয়ে কাজ করেছেন তিনি। বিবিসির হয়ে তৈরি করেছেন তথ্যচিত্রও। মহাশূন্যে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের খোঁজ মিলেছে বলে এবার দাবি করলেন তিনি।
সাইমন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের একটি গবেষণায় ভিনগ্রহীদের সন্ধান মিলছে। তবে তারা মানুষ নন। বরং আমাদের ছায়াপথে বসবাসকারী, ভিনগ্রহী শক্তি।
সাইমনের দাবি, এই মুহূর্তে বিশদ তথ্য সংগ্রহে ব্যস্ত তাবড় সংস্থা। হতে পারে আগামী মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভিনগ্রহীদের খোঁজ পাওয়ার ঘোষণা হবে। সাইমন জানিয়েছেন, অক্সফোর্ডের প্রধান পদার্থবিদ অ্যান্ড্রু সিমনের নেতৃত্বে ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে সিগনাল পাওয়া গিয়েছে। একটি অলাভজনক সংস্থা এই গবেষণায় সহায়তা জোগাচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে ৪.২ আলোকবর্ষ দূরে, প্রক্সিমা সেনটরি নক্ষত্র সংলগ্ন অঞ্চল থেকে সিগনাল এসে পৌঁছেছে বিজ্ঞানীদের কাছে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্কস রেডিও টেলিস্কোপের ব্রেকথ্রু লিসন ক্যান্ডিডেট ১ (BLC-1) ওই সিগনাল ধরতে সফল হয়। সেই নিয়ে এতদিন ধরে গবেষণা চলছিল। কোথা থেকে ওই সিগনাল এসেছিল, তার উৎস খুঁজছিলেন বিজ্ঞানীরা। ভিনগ্রহীদের কাছ থেকে ওই সিগনাল আসেনি বলে ২০২১ সালে একদল বিজ্ঞানী সিদ্ধান্তে উপনীত হন। কিন্তু গবেষণায় যে সমস্ত তথ্য ক্রমশ হাতে এসে পৌঁছায়, তাতে অবস্থান বদলাতে শুরু করেন তারা।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সাইমন জানিয়েছেন, BLC-1 যে সিগনালটি ধরতে সক্ষম হয়, তা সাধারণ কোনও শব্দ নয়। বরং সবদিক থেকে ওই সিগনাল অনন্য। একটিমাত্র উৎস থেকে ওই সিগনাল এসে পৌঁছয়া পৃথিবীতে। মানবজাতির ব্যবহার ব্যাতীত কোনও প্রযুক্তির মাধ্যমে সেটি পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, ২০২২ সালেও ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে এমন শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। চীনা বিজ্ঞানীরা তখন জানান, Five-Hundred-Metre Aperture Spherical Telecsope (FAST)-এ ভিনগ্রহীদের পাঠানো সিগনাল ধরা পড়েছে। পরবর্তীতে সেই মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান তারা।
তাই সাইমনের ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গেলেও, অতীত স্মরণ করে সাবধানীও সকলে। যদিও সাইমনের দাবি, এবার আর কোনও বিভ্রান্তি নেই। তার দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রতিযোগিতা চরমে। হতে পারে গবেষণারত বিজ্ঞানীদের চেয়ে ঢের আগে চীনা বিজ্ঞানীরা তথ্যপ্রমাণসহ ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের প্রমাণ তুলে ধরবেন পৃথিবীবাসীর সামনে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)