শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের সিকিম রাজ্যে। ২০১২ সালে ওই নারীর যখন অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচার হয়েছিল, সেই সময় চিকিৎসকদের ভুলে তার পেটের ভিতরেই রয়ে যায় সার্জিকাল কাঁচি।
তারপর থেকেই পেটে যন্ত্রণা হত। কিন্তু হাজারো চিকিৎসকের কাছে গিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন চিকিৎসক নানা ধরনের ওষুধ দিতেন, তাতে কয়েকদিন ব্যথা কমলেও, তা আবার ফিরে আসত।
সম্প্রতি চলতি মাসে এক চিকিৎসক এক্স-রে করিয়ে দেখেন যে, পেটের ভিতরে কাঁচি! রোগীর স্বামী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে গ্যাংটকের এক হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার স্ত্রীর। অস্ত্রোপচার করে অ্যাপেনডিস্ক শরীর থেকে বাদ দেওয়ার পরে যন্ত্রণা কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। উল্টে ব্যথা আরও বৃদ্ধি পায়।
গত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্ত্রীকে নিয়ে একাধিক চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন। তাদের পরামর্শ নিয়েছেন। কিন্তু যন্ত্রণার উপশম হয়নি। শেষে গত ৮ অক্টোবর গ্যাংটকের ওই হাসপাতালেই স্ত্রীকে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। এক্স-রে করানো হয় তলপেটের। তখনই ধরা পড়ে বিষয়টি। পরিবারের দাবি, এতগুলি বছর ধরে চিকিৎসকেরা কেউই বিষয়টি ধরতে পারেননি।
কেউ ভিটামিনের ওষুধ দিয়েছিলেন। কেউ গ্যাস্টিক সমস্যার জন্য ওষুধ দিয়েছিলেন। কিন্তু কী কারণে সমস্যা হচ্ছে, তা কেউই ধরতে পারেননি। এর পর নামচিতে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার বায়োপসি করানো হয়। সেখানেই বিষয়টি সন্দেহজনক ঠেকে চিকিৎসকদের। বর্তমানে ওই নারীর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। তবে ১২ বছর আগে চিকিৎসকের এমন গাফিলতিতে চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)