মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১
স্নিকোগ্রাফে ধরা পড়েনি বড় কিছু। কিন্তু দিক বদল ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত ভরসা রাখলেন চোখের ওপর। প্রযুক্তির ছোঁয়া ক্রিকেটে এসেছে সিদ্ধান্তকে নির্ভুল করতে। কিন্তু জয়সওয়ালের আউটের বেলায় নিজের চোখকেই বিশ্বাস করেছেন বাংলাদেশি আম্পায়ার। অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদল হলো। আউট হলেন ভারতীয় ব্যাটার।
এই আউটের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন শরফুদ্দৌলা সৈকত। টুইটারে বেশ বড় রকমের সমালোচনা চলছে বাংলাদেশি আম্পায়ারকে নিয়ে।
ঘটনার সূত্রপাত প্যাট কামিন্সের ৭১তম ওভারে। টেস্ট জিততে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ৪ উইকেট। ভারতের ২০০ রান। এমন সময় বাউন্সার বলে ফাইন লেগে খেলতে চেয়েছিলেন জয়সওয়াল। তবে বল জমা পড়ে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির কাছে। ক্যাচের আবেদন করে অস্ট্রেলিয়া। মাঠের আম্পায়ার দেন আউট দেননি। কামিন্স রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার কাছে।
রিভিউ নেওয়ার রিপ্লেতে দেখা যায় বল ব্যাট ও গ্লাভস ছুঁয়েছে। শরফুদ্দৌলাও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় জানান, তিনি স্পষ্ট করেই দেখতে পেয়েছেন বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি স্নিকোর সাহায্য চান। কিন্তু স্নিকোগ্রাফে পরিবর্তন আসেনি। তাতে অবশ্য বাংলাদেশি আম্পায়ারের মন গলেনি। ঠিকই দিলেন আউটের সিদ্ধান্ত।
মাঠেই আম্পায়ারদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন জয়সোয়াল। উইকেট ছাড়তে ছাড়তেও কিছু একটা বলেছেন তিনি। ধারাভাষ্যকারদের অবশ্য পাশে পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা। হার্শা ভোগলে ও মার্ক নিকোলাসরা এটাকে সাহসী ও ন্যায্য সিদ্ধান্তই বলেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনে আউটের সিদ্ধান্তের পক্ষেই মত দিয়েছেন অভিজ্ঞ আম্পায়ার সাইমন টোফেল।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)