সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ ওভারে রাজশাহীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। তবে কঠিন সেই সমীকরণটা মেলাতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। নিজে ৫৭ বলে শত রান করলেও ম্যাচ শেষে দলকে জেতাতে না পারার হতাশা ঝরেছে বিজয়ের কণ্ঠে।
সংবাদ সম্মেলনে বিজয় বলেন, ‘আসলে আমার ইনিংস নিয়ে বিশেষ করে বলার কিছু নেই। স্কোরবোর্ডে দেখছিলাম ম্যাচটা কতটুকু ক্লোজে নিয়ে যাওয়া যায়। রানরেট কত চলছে। ব্যাটিংয়ে ভেবেছি উইকেটে থাকি বল অনুযায়ী খেলতে থাকি। আফিফের একটা ক্যাচ ছিল। ৬-৭ রানে আউট হয়ে যেতে পারতাম। তবুও আল্লাহ হয়ত দিয়েছে। তাই এত বড় রান হয়েছে। ম্যাচ জেতাতে পারলে আলাদা শান্তি লাগত।’
বিজয়ের ভাষ্য, সেঞ্চুরি করেও আফসোস থেকে যাবে তার মাঝে, ‘এমন ম্যাচ জেতাতে পারা কিন্তু ব্যাটারের জন্য স্বপ্নের মত ব্যাপার। সবার আশা থাকে ক্যারিয়ারে এমন ৫-৬টা ম্যাচ সে জেতাবে। একা নিজের হাতে। তখন নিজের ইনিংসটা সামারি করতে পারতাম। একটা সংখ্যা ভালো সংখ্যা সুন্দর সংখ্যা। আফসোস থেকে যাবে।’
বিজয় বিশ্বাস করেন, রায়ান বার্ল থাকলে ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল রাজশাহীর, ‘আমি ২টা বল স্লটে ছিল মিস হয়ে গেছে। একটা এ পাশ থেকে যে করলো, একটা হাসানের বলে। দুইটা আমি মিস করেছি। রায়ান বার্ল বিপিএলে ভালো করছে। সে থাকলে অবশ্যই সুযোগ তো ছিলই। টুর্নামেন্টজুড়ে বিপিএলে বার্ল এবং খুশদিল শাহ অন্যতম সেরা ছিল। আমি মনে করি অবশ্যই সুযোগ তো ছিল (বার্ল থাকলে)।’
নিজের প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরি নিয়ে বিজয় বলেছেন, ‘আমরা যেসব ইনিংস দেখি এর পেছনে বল বয়, কোচ, থ্রোয়ার, যারা কাছের মানুষ আছে তাদের আসলে ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। সেই সকাল থেকে যে অনুশীলন করি এটা ৩৬০ ডিগ্রি বলেন বা আন অর্থোডক্স শট বলেন, এগুলো সুযোগ ব্যাটারের জন্য। আমি যখন কাভার, পুল সোজা খেলতে পারছি, ভাবছি কীভাবে পাওয়ারপ্লে শেষে বাউন্ডারি বের করতে পারি।’
সেঞ্চুরি উৎসর্গ তিনি করেছেন নিজের কাছের দুই মানুষকে, ‘সেঞ্চুরির জন্য আমার কোচ এবং একটা বন্ধুকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবসময় আমার পাশে থাকে, আমার অনুপ্রেরণা দেয়। খুব ইতিবাচক থাকে। আমার খুব পছন্দের এবং কাছের মানুষ বিপ্লব ভাই এবং বন্ধু মাসুদ এই দুইজনকে উৎসর্গ করতে চাই।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)