রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ ফুটবল দলের পৃষ্ঠপোষক মাঝেমধ্যে থাকলেও, কখনও আনুষ্ঠানিক কিট স্পন্সর ছিল না। তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বাফুফের নতুন কমিটি চার মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ নারী ও পুরুষ সিনিয়র-জুনিয়র সকল দলের জন্য প্রথমবারের মতো কিট স্পন্সর নিশ্চিত করেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রথম অ্যাওয়ে জার্সি প্রকাশ করেছে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ‘দৌড়’। নতুন এই জার্সির দাম ১৪০০ টাকা।
দেশের বাইরে বা অ্যাওয়ে ম্যাচে এই জার্সি পরে খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। জার্সির পুরোটা জুড়ে ব্যবহৃত হয়েছে লাল রঙ। আর তার মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র, নদী, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় ফুল শাপলার প্রতিবিম্ব আঁকা রয়েছে। জার্সির সামনের অংশে বুক বরাবর নেমে গেছে কয়েকটি নদী। যা প্রতিনিধিত্ব করছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের।
নদীকে বোঝাতে কিছুটা হালকা লাল রঙ ব্যবহার করা হয়েছে। তাতে আবার রয়েছে সূর্যের আভা। অর্থাৎ, জার্সিজুড়ে থাকা পতাকার লাল রঙের মাঝে উঠছে নতুন দিনের সূর্য। আবার তিন নদীর অববাহিকা অনেকটা দেখতে দু’হাত তুলে ভিক্টোরি বা বিজয় চিহ্নের মতো দাঁড়ানো। আর হাতায় রাখা হয়েছে জাতীয় ফুল শাপলার প্রতীকি ডিজাইন। এটি কেবল জাতীয় ফুলের প্রতিনিধিত্বই নয়, খেলোয়াড়দের শক্তি-সামর্থ্য, স্বচ্ছতা ও দৃঢ় মনোবলের পরিচয়ও দিচ্ছে এখানে। হাতার নকশায় রয়েছে ডায়মন্ডের উপস্থিতি। সবমিলিয়ে জার্সিটি বাংলাদেশের পরিচয়, ঐতিহ্য ও অ্যাথলেটদের অটুট স্পিরিট ফুটিয়ে তুলেছে। অ্যাওয়ে জার্সিটি অফিসিয়ালি কেনা যাবে এই ঠিকানায়।
ফ্যাশন ডিজাইনার তাসমিত আফিয়াত বাফুফে ও দৌড় প্রকাশিত এই অ্যাওয়ে জার্সির ডিজাইন করেছেন। যা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর সীমারেখা এবং দেশের মানচিত্রের সাথে সঙ্গতি রেখে তৈরি করা হয়েছে। গত মাসে বাংলাদেশ নারী দল আরব আমিরাতে খেলেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রথম ম্যাচ দিয়েই বাফুফের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় দৌড়ের। যদিও ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি কোনো জার্সি কিংবা ট্র্যাক স্যুট সরবরাহ করতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। খুব সম্ভবত সেই ম্যাচেই জামাল-হামজা চৌধুরীদের নতুন এই অ্যাওয়ে জার্সি পরে খেলতে দেখা যাবে!
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)