সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
১১১ মিনিট পর্যন্ত খেললেন। মাঠে দলের স্বার্থে উজাড় করে দিয়েছিলেন নিজেকে। কিন্তু একেবারে শেষে এসে যেন নিজেকে আর ধরেই রাখতে পারলেন না অ্যান্তোনিও রুডিগার। বার্সেলোনার বিপক্ষে কোপা দেল রে ফাইনালে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ডাগআউট থেকে একটি বস্তু রেফারির দিকে ছুঁড়েও মেরেছেন। আবার এমন আচরণের কারণে লাল কার্ডও দেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই জার্মান ডিফেন্ডার।
ম্যাচের একেবারে শেষ পর্যায়ে এমবাপের ফ্রি-কিক না পাওয়ায় রেফারির দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন রিয়ালের ডিফেন্ডার অ্যান্তোনিও রুডিগার। এমনকি রেফারিকে লক্ষ্য করে কিছু একটা ছুঁড়ে মারা হয়েছে– এমন অভিযোগও এসেছে রিয়ালের জার্মান এই ডিফেন্ডারের বিপক্ষে। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, ডাগআউটে বক্সের মধ্যে থাকা বরফ ছুড়ে মারা হয়েছে রেফারিকে।
স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলা বিধির ১০১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এমন আচরণের কারণে ৪ থেকে ১২ ম্যাচ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন। আর এই নিষেধাজ্ঞা লা লিগাতেও প্রযোজ্য হবে, যার ফলে তিনি সেল্তা ভিগো, বার্সেলোনা, মায়োর্কা ও সেভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো মিস করতে পারেন ।
এমন এক আচরণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রুডিগার। ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘গত রাতের আমার আচরণের কোনো অজুহাত নেই। আমি এজন্য খুবই দুঃখিত। আমরা দ্বিতীয়ার্ধ থেকে খুব ভালো একটি ম্যাচ খেলেছি। ১১১ মিনিটের পর আমি আর আমার দলকে সাহায্য করতে পারিনি এবং শেষ বাঁশির আগে আমি একটি ভুল করেছি। আবারও রেফারি এবং সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি, যাদের আমি গত রাতে হতাশ করেছি।’
এদিকে একই ম্যাচে লাল কার্ড পেয়েছেন রিয়ালের আরও দুই তারকা জুড বেলিংহ্যাম ও লুকাস ভাসকেজ। ম্যাচের শেষ দিকে রেফারির প্রতি অসম্মানজনক আচরণের জন্য লাল কার্ড পান এই দুজন। তাদের এই অপরাধগুলোকে তুলনামূলকভাবে হালকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
লাল কার্ডের জন্য ভাস্কেজ এবং বেলিংহাম ২ থেকে ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেতে পারেন, অবশ্য তাদের এই শাস্তি শুধুমাত্র পরবর্তী কোপা দেল রে প্রতিযোগিতায় প্রযোজ্য হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)