রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
আগামীকাল (২০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের খেলাগুলো।
আসন্ন এই সিরিজকে সামনে রেখে খেলা দেখতে আগ্রহী দর্শকদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্টেডিয়ামে প্রবেশের সেই নির্দেশনাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো-
স্টেডিয়ামে প্রবেশের সময়ে যেসব জিনিসপত্র সঙ্গে রাখা যাবে না-
* আগ্নেয়াস্ত্র, * লেজার পয়েন্টার, * ফ্লেয়ার, *বিস্ফোরক, *আতশবাজি, *ম্যাচ / লাইটার, *সিগারেট, *ভিডিও ক্যামেরা, *পেশাদার স্টিল ক্যামেরা, *লাঠি সহ পতাকা, *ভুভুজেলা, *আয়না, *ছুরি, *ক্যান, *ক্যাপ বা কর্কযুক্ত সব ধরণের বোতল, *কাচের বোতল, *বাঁশি, এবং অন্য যে কোনও জিনিস যা তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা খেলোয়াড়, দর্শকদের জন্য বিপজ্জনক/ হুমকিস্বরূপ বলে বিবেচিত হয়।
২। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ এবং স্ট্যান্ডে কোনও ব্যক্তিগত ক্ষতি, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বা ক্ষতির জন্য বিসিবি দায়ী নয়।
৩। দর্শক যদি খেলার মাঠের ও দর্শক গ্যলারির নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, হুমকিস্বরূপ মনে হয় অথবা দর্শকসাধারণের জন্য উপদ্রব সৃষ্টিকারী হয়, তাহলে বিসিবি এই দর্শক কে প্রবেশে বাধা দেওয়া ও গ্যলারিতে প্রবেশ করে থাকলে উচ্ছেদ করার অধিকার সংরক্ষণ করে।
৪। বাইরের থেকে খাবার ও পানীয় নেয়া যাবে তবে তা নিরাপত্তা কর্মীরা যে কোন ভাবেই নিরাপত্তা তল্লাশি করার অধিকার রাখে ও তল্লাশি সাপেক্ষ্যে তা প্রবেশের অনুমতি পাবে অন্যথায় নয়।
৫। স্টেডিয়ামের ভেতরে বা বাইরে অননুমোদিত কোন প্রকার ব্র্যান্ডিং নিষিদ্ধ ।
৬। ক্রিকেটে দুর্নীতিমূলক যে কোন প্রকার কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য বিসিবি তার ক্ষমতায় থাকা প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দোষী কে আইনের কাছে সোপর্দ করার অধিকার রাখে।
৭। স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে যে কোনো ধরণের বাজি নিষিদ্ধ ও আইনত দন্ডনিয় অপরাধ বলে গণ্য।
৮। বাজি বা এই ধরনের দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপে জড়িত ব্যক্তি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ এবং বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের নিকট এই ধরনের কার্যকলাপের জন্য শাস্তিযোগ্য অপরাধী বলে গণ্য হবে।
৯। স্টেডিয়ামের সমস্ত স্ট্যান্ড ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকা।
১০। প্রতিটি দর্শক আইসিসির বৈষম্য বিরোধী নীতি মেনে চলতে বাধ্য, ব্যপ্তয়ে স্টেডিয়াম থেকে উচ্ছেদ যোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
১১। কেহ যদি ভাষা, অঙ্গভঙ্গি, অথবা অন্য কোন কিছুর মাধ্যমে, জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, বর্ণ, বংশ, জাতীয়তা, জাতিগত উৎস, লিঙ্গ, যৌন অভিমুখিতা, অক্ষমতা, বৈবাহিক অবস্থা এবং / অথবা মাতৃত্বের অবস্থার ভিত্তিতে অন্য কোনও ব্যক্তিকে (খেলোয়াড়, ম্যাচ কর্মকর্তা বা দর্শক সহ) অপমান, ভয় দেখানো / হুমকি দেওয়া, অবমাননা করা বা অপমান করার সম্ভাবনা প্রদর্শন প্রতিয়মান হয়, এই কার্যকে স্টেডিয়াম থেকে বহিষ্কার এবং ফৌজদারি মামলা যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে করা হবে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)