রবিবার, ৩ আগস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গণ্ডি থেকে সরে দেশীয় বোলারদের মুখোমুখি হতেই ব্যাটে রানের ফোয়ারা ছুটেছে নাঈম শেখের। রান পাচ্ছেন নিয়মিত। সবশেষ হাই পারফর্ম্যান্সের বিপক্ষে এ দলের সিরিজে বাংলাদেশি এই ওপেনার করেছেন ৪৭ রান।
এরপর কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটারকে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পরামর্শও দেন কোচ।
ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ দলে ফিরেছিলেন নাঈম শেখ। তবে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে ব্যর্থই হয়েছেন। আগের ছকেই কাবু হয়েছেন, রান করতেও হাঁসফাঁস করেছেন তিনি।
তবে তা শেষে এইচপির মুখোমুখি হয়ে তাণ্ডব বইয়ে দিলেন রীতিমতো। দলটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ৩২ বলে করেছেন ৪৭। হাঁকিয়েছেন তিনটি করে চার আর ছক্কা।
দেশীয় বোলারদের বিপক্ষে তার এমন সাফল্য অবশ্য নতুন নয়। এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা তিনে, করেছিলেন ৬১৮ রান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ছিলেন সেরা ব্যাটার, করেছিলেন করেছেন ৫১১ রান।
এবার এইচপির বিপক্ষেও রানের দেখা পেলেন তিনি। এই দেখে কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের অভিমত, নাঈমের ব্যাটিংয়ের স্টাইলের জন্য মন্থর উইকেট যুতসই নয়। তিনি বলেন, ‘নাইম শেখ সাধারণত শটস খেলতে পছন্দ করে। সে যে ধরনের ক্রিকেট খেলে সে হয়তো স্লো উইকেটে এতোটা ভালো করতে পারে না।’
তিনি মনে করেন, সফল হতে হলে সব ধরনের উইকেটে মানিয়ে নিতে হবে তাকে। কোচ বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে এটা তার মানিয়ে নিতে হবে। সে জাতীয় দলে খেলতে, সে অনেক অভিজ্ঞ, ভালো ক্রিকেটার হওয়ার কারণেই সে জাতীয় দলে খেলেছে। আজকে একটু সাবলীল খেলেছে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মিরপুরে তার ব্যাট খুব একটা হাসেনি। ১৭.০৫ গড়ে করেছেন ৩০৭ রান, স্ট্রাইক রেটটাও যাচ্ছেতাই, ৮৩.৮৭।
তবে নাঈম অবশ্য মিরপুরের মন্থর উইকেটের বাইরেও সফলতা পেয়েছেন সামান্যই। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ভারতের বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮১ রানের ওই ইনিংস বাদ দিলে তিনি ১১০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ফিফটির দেখা পেয়েছেন মোটে ৩ বার যার দুটো আবার ওমান আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
পুরো ক্যারিয়ারে ৩৮টি ইনিংস খেলেছেন তিনি। যার মোটে ১৫টি ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১০০। ১১০ এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস আছে মোটে ৬টি। ফলে শুধু মন্থর উইকেটেই নয়, নাঈমকে তার ব্যাটিং যুতসই করার লড়াই চালাতে হবে অন্য সব উইকেটেও।
কোচ অবশ্য বলছেন এইচপির বিপক্ষে এই সিরিজে পাওয়া রান নাঈমের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, ‘নাইম শেখ সম্প্রতি কিছু ম্যাচ জাতীয় দলে খেলেছে। এই পারফরম্যান্সগুলো জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
তবে বাস্তবতা কিন্তু উলটো কথাই বলছে। বিপিএল আর ডিপিএলে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে জাতীয় দলে ফিরেও তিনি মুখ থুবড়ে পড়েছেন নিদারুণভাবে। এশিয়া কাপের আগে সেটা বদলায় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)