বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের একজন লিওনেল মেসি, বিপরীতে দাঁড়িয়ে অন্যতম সেরা কোচদের একজন হোসে মরিনিয়ো। একসময় বার্সেলোনার কোচিং স্টাফে থাকলেও পরবর্তীতে এই পর্তুগিজ মাস্টারমাইন্ড ডাগআউটে দাঁড়িয়েছিলেন মেসির প্রতিপক্ষ দলের দায়িত্বে। আর সেটাই নাকি মরিনিয়োকে আরও ভালো কোচ হতে ভূমিকা রেখেছে। যদিও সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্ক শুনলে মেজাজ খারাপ হয় সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ কোচের।
কেবল স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়েই নয়, মরিনিয়ো মেসির প্রতিপক্ষ হিসেবে কোচিং করিয়েছেন এফসি পোর্তো, চেলসি এবং ইন্টার মিলানে। যদিও রিয়ালের কোচ থাকাকালেই দ্বৈরথটা বেশি দেখেছেন বার্সেলোনার এই মহাতারকার সঙ্গে। সম্প্রতি ক্রীড়াবিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল স্পোর্টিনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মরিনিয়ো জানান, মাঠে মেসিকে ঠেকানোর চ্যালেঞ্জই নাকি তার কোচিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করেছে।
মরিনিয়োর কাছে জানতে চাওয়া হয় কোন খেলোয়াড় তার কোচিংয়ের দক্ষতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। জবাবে ৬২ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘মেসি, কারণ তার বিপক্ষে যতবারই খেলা ছিল, প্রতিবারই সে আমাকে আরও বেশি ভাবতে বাধ্য করেছে।’ ২০২৩ সালের নভেম্বরে পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোর কোচ থাকাকালে প্রথম মেসিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পান মরিনিয়ো। এরপর রিয়ালের ডাগআউটে দাঁড়িয়ে সবচেয়ে বেশি হিসাব-নিকাশ করতে হয়েছে বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকো ম্যাচে।
মেসির প্রসঙ্গ যেহেতু উঠলো–ই, স্বভাবতই সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্ক তো এসেই যায়। মরিনিয়ো’র সামনেও সেই প্রসঙ্গ তোলা হলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার মতে এটি অন্যায্য এবং যখনই আমি কাউকে এই আলোচনা করতে শুনি, তখন বিষয়টি আমার পছন্দ হয় না। তরুণ প্রজন্ম বিষয়গুলো জানে, তবে তারা পেলে-ইউসেবিও কিংবা বেকেবাওয়ারদের গভীরতা জানে না। তখনকার ফুটবল এবং খেলার আবহ কোনোভাবেই বর্তমানের পরিস্থিতির সঙ্গে মিলবে না।’
ভিন্ন প্রজন্মের ফুটবলারদের মাঝে তুলনা দেখে মেজাজ বিগড়ে যায় জানিয়ে এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বর্তমানে তুর্কি ক্লাব ফেনেরবাচের এই কোচ, ‘তাদের সময়ের ফুটবল আর আজকের ফুটবল এক নয়। ৪০ বছর আগে বৃষ্টি হলে বলের ওজন ১০ কেজি হয়ে যেত। আর এখন বল শাঁ শাঁ করে ওড়ে।’
ইউরোপীয় ফুটবল ছেড়ে মেসি এখন আমেরিকান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) তারকা। ইন্টার মায়ামির হয়ে এখনও ঝলক দেখালেও, পুুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে নেই তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে, মরিনিয়ো–ও ইউরোপে আছেন ঠিকই, তবে অনেকটা কম–নামের ক্লাবে। তুর্কি ক্লাব ফেনেরাবাচকে তিনি ২০২৫-২৬ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তোলার লক্ষ্যে নেমেছেন। বুধবার পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার সঙ্গে প্লে-অফের প্রথম লেগে খেলবে মরিনিয়োর দল। অন্যদিকে, মেসির চোখে প্রথমবার মায়ামির হয়ে এমএলএসের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন!
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)