শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এক যুগ আগে বেশ ঘটা করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা ও পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। দুই বৈরি দেশের দুই তারকার এমন বিয়ের আয়োজন স্বাভাবিকভাবেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তুমুল সাড়া জাগানো সেই বিয়ের পর তারকা এই দম্পতির ছাড়াছাড়ি নিয়েও এখন প্রচুর চর্চা হচ্ছে। শোয়েব মালিক নতুন জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদকে।
মালিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ কিংবা প্রাক্তনের তৃতীয় বিয়ের পর সেভাবে প্রতিক্রিয়া জানাননি সানিয়া। যদিও তার পরিবারের তরফে এক বিবৃতিতে নতুন অধ্যায়ের জন্য পাকিস্তানি তারকাকে শুভকামনা জানানো হয়েছে।
মির্জা পরিবার ও টিম সানিয়ার নামে দেওয়া সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সানিয়া সব সময়ই তার ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের আড়ালে রেখেছেন। যাই হোক, আজ এটা জানানোর প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব আর তার বিবাহবিচ্ছেদ কয়েক মাস আগেই হয়ে গেছে। সে শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।’
এদিকে, গেল বেশ কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেছেন ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সানিয়া ভক্তরা তো আর দমে যাওয়ার পাত্র নন। সানিয়াকে নিয়ে চর্চা চলছেই। এমনকী জ্যোতিষীরাও বসে নেই। কবে নাগাদ এই তারকা আবার বিয়ে করবেন এমন ভবিষ্যাদ্বাণীও করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সানিয়ার একটি পোস্ট ঘিরে রহস্য খুঁজছেন কেউ কেউ।
ছেলে ইজহানকে নিয়ে সম্প্রতি ভারতে ফিরেছেন সানিয়া মির্জা। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার একটি ছবি ও ক্যাপশন ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। সিল্কের গোলাপি একটি শার্ট এবং ক্রিম ট্রাউজার্স পরে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন সানিয়া। সঙ্গে যা লিখেছেন, তার তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘সব কিছুই সম্ভব’। সানিয়ার হাসিখুশি ছবি দেখে আশ্বস্ত তার অনুরাগীরাও।
এদিকে, অনেকের ধারণা শোয়েব অধ্যায়ের পর শিগগিরই সানিয়া আবারও বিয়ে করতে পারেন। অনেকে তার সাহসী পদক্ষেপকে কুর্নিশও করেছেন। একজন বলছেন, ‘আপনি ঠিক সেই কাজটাই করছেন, যেটা এক জন অসৎ মানুষের সঙ্গে করা উচিত।’ আর একজন আবার বলেছেন, ‘ঠিকই বলেছেন। চাইলে সব কিছুই সম্ভব।’ সানিয়ার হাসিখুশি ছবিতে শুধু ভালোবাসার ইমোজি দিয়েও পাশে থেকেছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় আইন ‘খুলা’ পদ্ধতি মেনে সানিয়া এবং শোয়েবের ডিভোর্স হয়েছে। শরীয়া আইন অনুযায়ী— ‘খুলা’ হল মহিলাদের একটি অধিকার যার মাধ্যমে তারা একপাক্ষিক ভাবে স্বামীকে ডিভোর্স দিতে পারেন। সেই আইনের মাধ্যমেই সানিয়া শোয়েবকে ডিভোর্স দিয়েছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)