বৃহঃস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
২০২৬ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে বড়সড় আলোচনায় স্পেন। কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে হতে যাচ্ছে আসরটি। প্রথমবারের মতো তিনটি দেশে বসছে ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্পেন বাছাইপর্বে শুরুটা দারুণ করেছে । টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ধরা হচ্ছে প্রথম দুই ম্যাচেই জয় তুলে নেওয়া লুইস দে লা ফুয়েন্তের দলকে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চললেও নতুন এক বিতর্কে জড়িয়েছে স্প্যানিশরা। গুঞ্জন উঠেছে, ইসরায়েল যদি বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করে, তাহলে প্রতিবাদস্বরূপ স্পেন দল আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে।
ইসরায়েল বর্তমানে তাদের গ্রুপে তৃতীয় স্থানে আছে। নরওয়ের চেয়ে ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও ইতালির সঙ্গে সমান পয়েন্টে অবস্থান করছে তারা। হাতে আছে আরও তিনটি ম্যাচ। শীর্ষ দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে, আর দ্বিতীয় স্থান পাওয়া দল প্লে-অফের মাধ্যমে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা রাখবে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ প্রকাশ্যে বলেছেন, গাজায় কার্যক্রমের কারণে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসর থেকে বহিষ্কার করা উচিত। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেনে হামলার পর ফিফা ও উয়েফা যেভাবে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল, একই নিয়ম ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তাঁর ভাষায়, “ইসরায়েল যেন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের ভাবমূর্তি সাফাই দিতে না পারে।”
এদিকে স্প্যানিশ কংগ্রেসে স্যোশালিস্ট গ্রুপের মুখপাত্র পাটসি লোপেজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে বিশ্বকাপে খেলতে দিলে স্পেন সরকার বয়কটের পথে হাঁটতে পারে। সানচেজের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে লোপেজও ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন, রাশিয়ার মতো ইসরায়েলকেও প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ার।
স্পেন বিশ্বকাপ বয়কট করবে কি না এমন প্রশ্নে লোপেজ বলেন, “সময় এলে দেখা যাবে। যদি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে যথাসময়ে আমরা আনুষ্ঠানিক দাবি জানাব।”
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)