রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
যেকোনো হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দুই দলের কথা চালাচালি ও বাকযুদ্ধ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানের এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ এই মুহূর্তে সেই অর্থে তাদের হাত মেলানো ও সরাসরি কথা বলা বন্ধ। মুখ দেখাদেখি হয়নি ফাইনালের আগে নির্ধারিত ফটোশ্যুটেও। কারণ ভারত ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ফটোশ্যুট করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এসবের মাঝেই আজ (রোববার) ভারত-পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট মহল। কারণ ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপের পথচলা শুরু হলেও, ৪১ বছরে প্রথমবার এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে লড়বে ভারত-পাকিস্তান। যদিও চলতি আসরে গ্রুপপর্ব ও সুপার ফোরে তাদের দু’বার দেখা হয়েছিল। যেখানে খেলার চেয়ে বাইরের বিষয় এবং বিতর্কই আলোচনায় এসেছে বারবার। ফাইনালেও সেই বিতর্কে নতুন আঁচ লাগতে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবে!
আগের দুই ম্যাচেই টস কিংবা খেলা শেষে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘নো হ্যান্ডশেক’ মনোভাব দেখিয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দল। ফাইনালের আগে সেই প্রসঙ্গই উঠে এলো পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগার সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমি পেশাদার ক্রিকেট খেলছি, অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে। সেই সময় থেকে আমি কখনও এমনটা দেখিনি যে, দুই দলের খেলোয়াড়রা পরস্পর হাত মেলায়নি।’
ক্রিকেটের জন্য এমন মনোভাব ইতিবাচক কিছু নয় বলেও মনে করেন সালমান, ‘আমার বাবা ক্রিকেটের অনেক বড় একজন ভক্ত। তিনিও অতীতে এমন কিছুর সাক্ষী হয়েছেন বলে আমাকে জানাননি। আমি শুনেছি এমন কিছু আগে কখনও ঘটেনি। অতীতে ভারত-পাকিস্তানের মাঝে অনেক ম্যাচ হয়েছে, যখন দুই দেশের মাঝে (রাজনৈতিক) সম্পর্ক আরও খারাপ ছিল। কিন্তু তখনও পরস্পর হাত না মেলানোর মতো কিছু করেনি। তাই আমি মনে করি ক্রিকেটের জন্য এটি ইতিবাচক কিছু নয়।’
আলোচনা চলছে ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে হারিস রউফ ও শাহিবজাদা ফারহানদের উদযাপন নিয়েও। এর মধ্যে বিমান ভুপাতিত করার মতো ইঙ্গিতপূর্ণ উদযাপনের জন্য ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানাও হয়েছে পেসার রউফের। খেলার মাঠে উদযাপন নিয়ে হস্তক্ষেপ করাও ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন না পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘যদি আপনি পেস বোলারদের কাছ থেকে আগ্রাসন কেড়ে নেন, সে যেমনটা কার্যকর হওয়ার কথা সেটা থাকবে না। নির্দিষ্টভাবে কেউ যদি খেলার উত্তেজনা বাড়াতে আগ্রাসী মনোভাব দেখাতে চায়, আমি আগেও বলেছি এটিকে স্বাগত জানাব।’
এদিকে, যেকোনো প্রতিযোগিতার ফাইনালের আগে দুই দলের অধিনায়ককে নিয়ে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ভারতের আপত্তিতে গতকাল সেরকম কিছু হয়নি। তবে এটি ভারতের ব্যাপার হিসেবেই দেখতে চাইলেন প্রতিপক্ষ দলনেতা সালমান আগা, ‘তারা যা ইচ্ছা করতে পারে। আমাদের প্রোটোকল মানতে হয় এবং আমরা তা মানতে প্রস্তুত। বাকিটা তাদের ব্যাপার। যদি তারা আসতে চায় আসবে, যদি তাদের ইচ্ছা না হয়, আসবে না।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)