সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানকে মাত্র ১৯০ রানে থামিয়ে দেয় মেহেদী হাসান মিরাজের দল। এই মাঠে ওয়ানডেতে এটি প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন স্কোর।
স্বল্প লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটাও খারাপ হয়নি। ২২.২ ওভারে ৫ উইকেটে বাংলাদেশের রান ছিল ৯৯। জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল আর মাত্র ৯২ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু এখান থেকেই শুরু হয় ধস। ১০ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে ৮১ রানে হেরে সিরিজও হারাতে হয় মিরাজদের।
ম্যাচ শেষে হতাশ কণ্ঠে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা যথেষ্ট দায়িত্ব নিচ্ছে না। ব্যাটিংয়ে আমাদের উন্নতি দরকার। যদি ওয়ানডেতে রান করতে না পারি, তাহলে আমরা টিকে থাকতে পারব না।’
বল হাতে বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো করেছিল। মিরাজ নিজে নেন ৩ উইকেট, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব ২টি করে উইকেট নেন। রানআউটও ছিল দারুণ – তানজিদ হাসান তামিম সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন। আফগানিস্তানের রহমত শাহ চোটে পড়ে একবার মাঠ ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত আবার ব্যাট করতে নামেন, কিন্তু একটি বল খেলে হুইলচেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমার মতে বোলিংটা ভালোই হয়েছে।’
তবে সব সাফল্যের গল্প ম্লান হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায়। শান্ত রানআউট হন অদ্ভুত এক পরিস্থিতিতে, সাইফ হাসান অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেট ছুঁড়ে দেন। হৃদয়-জাকের কিছুটা চেষ্টা করলেও সেটাও ভাঙে হৃদয়ের ভুলে। এরপর একাই ধস নামান রশিদ খান। ৮.৩ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন, এর মধ্যে ২ ওভার ছিল মেডেন।
এ বছর এখন পর্যন্ত ৭ ওয়ানডে খেলে মাত্র একবারই ৫০ ওভার টিকে থাকতে পেরেছে বাংলাদেশ। এমন ব্যাটিং ধস নতুন কিছু নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারানোর রেকর্ডও আছে তাদের নামে। সিরিজ এখন আফগানিস্তান ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)