শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
হায়দরাবাদ টেস্টে নাটকীয় জয় পাওয়া ইংল্যান্ড বিশাখাপত্তমে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের কাছে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় মাত্র ২৫৩ রানে। ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরির পর পেসার জাসপ্রিত বুমরার ছয় উইকেটে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে থাকে স্বাগতিকদের হাতে। এরপর ভারত শুবমান গিলের তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানে অলআউট হলে জয়ের জন্য ৩৯৯ রানের লক্ষ্য পায় ইংলিশরা। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৭ রান করে বেন স্টকসের দল। চতুর্থ দিনে ৩৩২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বুমরা-কুলদ্বিবের বোলিং তোপে ২৯২ রানে গুটিয়ে যায় ইংলিশরা। এতে ১০৬ রানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের ১-১ সমতায় ফেরায় ভারত।
চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামা ইংলিশদের সামনে দরকার ছিল ৯ উইকেটে ৩৩২ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের বোলিং তোপে মুখ থুবড়ে পড়েছে ইংলিশদের বাজবল। গতকাল ডাকেটের বিদায়ের পর আজ নাইট ওয়াচম্যান রেহান আহমেদকে নিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন জ্যাক ক্রাওলি। দুজনে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। ২৩ রান করা রেহানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল।
আগের ম্যাচের নায়ক অলি পোপ নেমে দ্রুত রান তুলছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের অতিরিক্ত লাফিয়ে ওঠা বল পোপের ব্যাটের কানায় লেগে রোহিত শর্মার হাতে জমা পড়ে। ২১ বলে ২৩ রান করে ফেরেন পোপ। ইংল্যান্ড বড় ধাক্কা খায় ১৬ বল পরেই। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকা জো রুট অশ্বিনের বলে ধরা পড়েন অক্ষরের হাতে। ১০ বলে ১৬ রান করেন রুট, দলের স্কোর তখন ১৫৪ রানে ৪ উইকেট।
পরের ১০ ওভার নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। ধীরে চলো নীতিতে এগুচ্ছিলেন ক্রাওলি-জনই বেয়ারস্টো। কিন্তু কুলদীপ যাদব ক্রাওলিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে এই জুটি ভাঙেন। ১৩২ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ৭৩ রান করেন ক্রাওলি। ইংল্যান্ডের সংগ্রহ তখন ১৯৪। পরের ওভারেই কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটে কাটা পড়েন ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস। আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ১১ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। ইংল্যান্ডের জয়ের শেষ সম্ভাবনাটুকুও ততক্ষণে শেষ।
তবে এরপরেই দপ করে জ্বলে ওঠে ইংল্যান্ড। তাতে অবশ্য শুধু হারের ব্যবধানটাই কমেছে কিছুটা। বেন ফোকস ও টম হার্টলি মিলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ২৭৫ রানের মাথায় বুমরাহ ফোকসকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন। ৬৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন। এরপরে হার্টলি একাই লড়তে থাকেন। ২৯২ রানের মাথায় শেষ উইকেট হিসেবে বুমরাহর শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪৭ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৬ রান করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ৩৯৬ ও ৭৮.৩ ওভারে ২৫৫ (গিল ১০৪, শ্রেয়াস ২৯, আশ্বিন ২৯)
ইংল্যান্ড: ২৫৩ ও ২৯২ (ক্রলি ৭৩, ফোকস ৩৬, হার্টলি ৩৬)
ফল: ভারত ১০৬ রানে জয়ী
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)