শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির আগমন উপলক্ষে ফুটবলীয় উন্মাদনায় জেগে উঠেছিল হংকং। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকে একনজর দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেও শেষমেশ মেসির খেলা দেখতে পারেননি সমর্থকরা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়ায় মাঠেই নামতে পারেনি আর্জেন্টাইন তারকা। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হংকংয়ের দর্শকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষমেশ মুখ খুললেন মেসি।
জনপ্রিয় ফুটবলভিত্তিক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ জাপানের ক্লাব ভিসেল কোবের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে মেসির ইন্টার মিয়ামি। সে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন, ‘এটা সত্যি দুর্ভাগ্যজনক আমি হংকংয়ে খেলতে পারিনি। ফুটবলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমনটা হয়ে থাকে। ম্যাচ এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন অনেক সময় খেলা সম্ভব হয় না। সৌদি আরবে প্রথম ম্যাচ খেলার সময় আমি পেশিতে অস্বস্তি অনুভব করি। যে কারণে মাঠ থেকে উঠে যাই।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হংকংয়ে আমরা খোলা মাঠে অনুশীলন করি। সেই সময় অনেক মানুষ আমাদের দেখতেও এসেছিল। এ ছাড়া শিশুদের নিয়েও একটা পর্ব ছিল। সত্যিই আমি খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার জয়েন্টে অস্বস্তি ছিল এবং খেলাটা আমার জন্য কষ্টকরই ছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফুটবলে এমন ঘটনা যে কোনো সময়ই ঘটতে পারে। আমাদের চোট থাকতে পারে। আমার ক্ষেত্রে এমনটাই হয়েছে।’
আজ ভিসেল কোবের সঙ্গে ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা সম্পর্কে মেসি জানান, ‘আমি আবার চেষ্টা করব। আগের দিনগুলোর তুলনায় আমি ভালো অনুভব করছি কিন্তু সত্যি বলতে আমি এখনও জানি না আমি খেলতে পারব কিনা। তবে আমি অনেক ভালো অনুভব করছি এবং খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এদিকে হংকংয়ের নির্বাচিত একাদশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে মেসিকে খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মিয়ামি কোচ টানা মার্টিনো। ম্যাচটি দেখতে হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উৎসাহও ছিল ব্যাপক। এএফপি জানায়, এক হাজার হংকং ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা) খরচ করে টিকিট কিনেছিলেন দর্শকেরা। ৩৮ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম ছিল ভরা। কিন্তু যার খেলা দেখার জন্য তাদের উৎসাহ, সেই মেসিকে নামানোই হয়নি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)