শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ প্রতি বছরই সাফল্যের দেখা পায়। শেষ চার আসরে তিনবার চ্যাম্পিয়ন ও এক বার রানার্সআপ হয় বাঘিনীরা। তবে ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত লড়াইটা যে জমজমাট গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই তার আভাস মিলেছিলো।
আজ শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে তা টের পেয়েছে লাল-সবুজের দল। যেখানে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা টাইগ্রেসরা ম্যাচের শেষ মূহুর্তে সাগরিকার গোলে ১-১ সমতায় ফিরলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। তবে টাইব্রেকারেও এই ম্যাচের সমতা না মিললে, রেফারির সিদ্ধান্তে ম্যাচ গড়ায় টসে। যেখানে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদশের।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের শুরুতেই ঘরের মাঠে থাকা বাংলাদেশের দর্শকদের চুপ করিয়ে দেয় ভারত। ম্যাচের ৮ মিনিটে শিবানী দেবী লিড নিয়ে থাকে সফরকারীদের। এরপর ম্যাচের ফিরতে মরিয়া টাইগ্রেসরা বেশ সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিং এর অভাবে ম্যাচে ফিরতে পারেনি টিটুর শিষ্যরা।
উল্টো ১৭ মিনিটের সময় আরও পিছিয়ে পড়তে বসেছিলো বাংলাদেশ। ডি-বক্সের মধ্যে একা বল পেলেও ক্রসবারের উপর দিয়ে মারেন ভারতের ফুটবলার। এরপর ম্যাচের ২৮তম মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে আরও একটি জোরাল আক্রমণ করে ভারত। এবার অবশ্য শিবানীর বুলেট গতির শট দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ডি বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে স্বপ্নার দূরপাল্লার শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। এর এক মিনিট পরই ফের স্বপ্নার বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দলকে ফের রক্ষা করেন ভারতীয় গোলরক্ষক আনিকা দেবী। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হওয়ায় ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভারত।
বিরতি থেকে এসে দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণতক খেলতে থাকে বাংলাদেশ। তবে সমতায় ফিরতে পারছিলো না টাইগ্রেসরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের যোগ করা সময়ে শেষ মুহূর্ত যখন ভারতের ডাগাউটে তখন উৎসবের প্রস্তুতি। ঠিক তখনই বাংলাদেশের সাগরিকা গোল করে ১-১ সমতায় ফাইনাল যায় টাইব্রেকার। যেখানে টাইব্রেকারেও এই ম্যাচের সমতা না মিললে, রেফারির সিদ্ধান্তে ম্যাচ গড়ায় টসে। যেখানে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদশের।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)