শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এবারের মৌসুমে এখনো পর্যন্ত অপরাজিত আছে একটি মাত্র দল। সেটি বায়ার লেভারকুসেন। অথচ গত মৌসুমের শুরুতেও অবনমনের দ্বারপ্রান্তে ছিল দলটি। নিজেদের ইতিহাসে কখনোই লিগ শিরোপা না জেতা ক্লাবটি এক বছরের মাথায় শুধু যে ঘুরেই দাঁড়িয়েছে তাই ই নয়, বুন্দেসলীগায় শেষ করতে চলেছে বায়ার্ন মিউনিখের একচ্ছত্র আধিপত্য। গতকাল বায়ার্নকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়ের দৌড়ে ৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে জাবি আলোনসোর শিষ্যরা।
গত ১১ বছরে টানা বুন্দেসলিগার শিরোপা ওঠেছে বায়ার্নের ঘরে। তবে এ ধারা ভাঙতে চলেছে এবার। মৌসুমের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে লেভারকুসেন, টানা সাড়ে চার মাস ধরে শীর্ষে থাকা দলটি গতকাল বড় ম্যাচে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে বায়ার্নকে। ফলে টমাস মুলারদের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধানও বেড়েছে জাবির দলের। এ ধারা বজায় থাকলে এবার চ্যাম্পিয়ন হতে চলেছে লেভারকুসেনই।
এবারের মৌসুমে বায়ার্নের সঙ্গে প্রথম ম্যাচটিতে ড্র করেছিল লেভারকুসেন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ২-২ গোলের সেই ড্রয়ের পর কাল নিজেদের ঘরের মাঠে টমাস টুখেলের দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল জাবির দল। এই ম্যাচে ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় বায়ার, বায়ার্ন থেকেই ধারে যোগ দেয়া ইয়োসিপ স্তানিসিচ গোল করলে ১ গোলের লিড পায় দলটি।
এরপর দুই দলই গোলের লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে লড়াই করেছে। তবে প্রথমার্ধে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুতেই এগিয়ে যায় লেভারকুসেনই। নাইজেরিয়ান উইঙ্গার নাথান তেল্লার বাড়িয়ে দেয়া বলে দারুণ এক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিশ ফুটবলার অ্যালেক্স গ্রিমালদো।
এদিকে ঘরের মাঠে কাল বায়ার্ন যেন ছিল ছন্নছাড়া। পুরো ম্যাচে ৯টি শট নিলেও হ্যারি কেইনরা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল মাত্র ১টি। অন্যদিকে ১৪টি শট নিয়ে লেভারকুসেন লক্ষ্যে রাখতে পারে ৮টি। অবশ্য কালকের ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্নই, ৬১ শতাংশ সময় বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল কেইনরা।
দুই দলে এগিয়ে যাওয়া লেভারকুসেন নিজেদের তৃতীয় গোলটি পায় ম্যাচের একেবারে শেষে। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে জেরেমি ফ্রিম্পং লক্ষ্যভেদ করলে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লেভারকুসেন।
এই জয়ে ২১ ম্যাচে ১৭ জয়ে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করেছে লেভারকুসেন। সমান ম্যাচে বায়ার্নের পয়েন্ট ৫০, আছে তালিকার দুইয়ে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)