শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঢাকার দ্বিতীয় পর্ব শেষে বিপিএল এবার চট্টগ্রামে। দুই দিন বিরতি শেষে বন্দর নগরীতে শুরু হয়েছে দশম আসরের খেলা। যেখানে প্রথম ম্যাচেই দেখা মিলল রানের ফোয়ারা। স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ল লিটনের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উইল জ্যাকসের দুর্দান্ত শতকে আর শেষদিকে মঈন আলির ঝড়ো অর্ধশতকে ২৩৯ রানের পাহাড় গড়ে কুমিল্লা। যা বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। পাহাড়সম রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শরু করেও কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক চট্টগ্রাম। তাতে ৭৩ রানের বিশাল জয় চট্টগ্রাম।
২৪০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রামকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও জস ব্রাউন। উদ্বোধনী জুটিতে ৮০ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে বিপাকে পড়ে চট্টগ্রাম। ৮০ থেকে ১১৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে চট্টগ্রামের ব্যাটাররা।
তামিম ২৪ বলে ৪১ ও ব্রাউন ২৩ বলে ৩৬ রান করে ফিরে যান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি চট্টগ্রাম। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভার ৩ বলে ১৬৬ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। কুমিল্লার পক্ষে মইন আলি ও রিশাদ হোসেন নেন ৪টি করে উইকেট।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে আজ কুমিল্লাকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছেন লিটন দাস। এবারের আসরে টাইগার এই ব্যাটার রান খরায় ভুগলেও আজ হেসেছে তাঁর ব্যাট। শুরু থেকেই চট্টগ্রামের বোলারদের উপর চড়াও হয়েছিএন তিনি। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস।
ওপেনিং জুটিতে লিটন-জ্যাকস মিলে আজ তুলেছেন ৮ ওভারে ৮৬ রান যার ৬০ রানই করেছেন লিটন। ২৬ বলে অর্ধ-শতক ছোঁয়া লিটন আজ আউট হয়েছেন ৩১ বলে ৬০ রান করে, ৯ চারের সঙ্গে ৩ ছয়ে ঝড়ো এই ইনিংস খেলেন তিনি। এদিকে লিটন ফেরার পরের বলেই আউট হন তাওহীদ হৃদয়। এরপর ব্রুক গেস্টও দলের হাল ধরতে পারেননি।
ফলে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। তবে কুমিল্লাকে এই বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেছেন জ্যাকস এবং মঈন আলী। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৩ বলে করেছেন ১২৮ রান। এ দুজন মিলে আবার চট্টগ্রামের বোলারদের চড়াও হলে ফের বাড়তে থাকে কুমিল্লার সংগ্রহ।
দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়ার পথে ২৪ বলে ২ চার আর ৫ ছয়ে ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন মঈন। ওদিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অপরাপ্রান্তে শতক হাঁকান ওপেনার জ্যাকস। এবারের আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। কুমিল্লার ইনিংস শেষ হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৫ চার আর ১০ ছয়ে ১০৮ রান করেন জ্যাকস। এ দুজনের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদেই ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রানের সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)