বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) আগের আসরে যেখানে শেষ করেছিলেন শাহিন আফ্রিদিরা, সেখান থেকেই নবম আসর শুরু করতে চেয়েছিলেন। তবে তার দল লাহোর কালান্দার্স আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে হেরে গেছে। অধিনায়ক শাদাব খান ও সালমান আলী আগার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে হাই-স্কোরিং ম্যাচও অনায়াসে জিতেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। এর আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয় পিএসএল।
গতকাল (শনিবার) রাতে পর্দা উঠেছে পিএসএলের নবম আসরের। পাকিস্তানের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিল আলোর মোহনীয় ঝলকানি। নানারকম বাজি ও লেজার লাইটের অসাধারণ প্রদর্শনীতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বুঁদ হয়ে থাকেন দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা। জনপ্রিয় শিল্পীদের মধ্যে আরিফ লোহর, নাতাশা বেগ ও পপ ব্যান্ড নূরীর গান দিয়ে এবারের আসরের পর্দা ওঠে। পরবর্তীতে টুর্নামেন্টটির থিম-সং গাওয়া দুই শিল্পী আলী জাফর ও আয়মা বেগের পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর বল মাঠে গড়াতেই রোমাঞ্চকর লড়াই উপহার দেয় দু’দল লাহোর ও ইসলামাবাদ। আগে ব্যাট করতে নেমে শাহিন আফ্রিদির দল লাহোর নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য দেয়। শুরু থেকেই তাদের হয়ে ঝড় তোলেন তরুণ ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। ২৯ বলে তিনি ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। যা পিএসএলে তার অভিষেক ফিফটি। ৩৬ বলে ৫৭ রানে ফারহানের বিদায়ের অল্প সময় পর ফেরেন ফখর জামানও (১৩)।
পরবর্তীতে লাহোরের বড় সংগ্রহের ভিত আসে দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা রসি ভ্যান ডার ডুসেনের ব্যাটে। ৪১ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় তিনি ৭১ রান করেন। এছাড়া আব্দুল্লাহ শফিক ২৮ (২২ বল) এবং ডেভিড উইজি করেন ১৪ রান (৮ বল)। ইসলামাবাদের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন টাইমাল মিলস। শাদাব ও নাসিম শাহ একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
১৯৬ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ঝোড়ো শুরু পায় ইসলামাবাদও। যদিও ব্যক্তিগত মাত্র ৫ রানে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার কলিন মানরো। অ্যালেক্স হেলস ও শাদাব মিলে সেই ধাক্কা সামলে দলটিকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যান। ২৮ বলে ৩৬ রান করে হেলস ফিরলেও, আগ্রাসী মনোভাবে ছেদ পড়েনি শাদাবের। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন সালমান আলী আগা। দুজন মিলে বাধেন ১৩৮ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। ৪১ বলের ইনিংসে শাদাব ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৭৪ রান করেন।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান সালমানও একই তালে নাভিশ্বাস তুলেছেন শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও জামান খানদের। ৩১ বলে ৭টি চার ও তিন ছক্কায় তিনি করেন ৬৪ রান। শাদাব-সালমানের যৌথ তাণ্ডবে ১০ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)