শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মাথিশা পাথিরানাকেই বরং এখন মিস করছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে বেবি মালিঙ্গাকে বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিল টাইগার ব্যাটিং লাইনআপ। তবে তৃতীয় ম্যাচে নেই তিনি। আর তার বদলে এসে সিলেটের পিচে বাংলাদেশের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালালেন নুয়ান তুশারা।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম তুশারাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। মুহূর্তেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ল তাসের ঘরের মতো। ওভারের দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত, তৃতীয় বলে হৃদয় এবং পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন তুশারা। এখানেই থামেনি তার ধ্বংসযজ্ঞ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে ফিরিয়ে দিয়েছেন সৌম্য সরকারকেও।
হ্যাটট্রিক করার পথে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে তুশারা ফিরিয়েছেন দুর্দান্ত এক ইনসুইং ডেলিভারিতে। বেসামাল শান্ত অফ স্ট্যাম্প খুইয়েছেন তার ইনসুইংয়ে। এরপর হৃদয় এসে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আউট হয়ে গেলেন। এবার দ্রুতগতির আউটসুইংয়ের পাশাপাশি ইয়র্কার দিয়েছেন তুশারা। বোল্ড হয়ে ফেরেন হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ এসেও ভরসা হতে পারেননি। তুশারার আরেকটি আউটসুইং ডেলিভারিতে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। তবে ভাগ্যকে কিছুটা দুষতে পারেন তিনি। এলবিডব্লিউতে আউট হলেও ইম্প্যাক্ট ও উইকেট হিটিং দুটোতেই ছিল ‘আম্পায়ার্স কল’। অর্থাৎ আম্পায়ার যদি আউট না দিতেন তাহলে এলবি হতেন না মাহমুদউল্লাহ। সেক্ষেত্রে হ্যাটট্রিকও হতো না তুশারার।
এক ওভার পর আবার আঘাত হেনেছেন তুশারা। এবার তার শিকার হয়েছেন সৌম্য সরকার। আগের তিন উইকেটের মতো এবারেও সুইং আর গতিতেই পরাস্ত করেছেন টাইগার ওপেনারকে। দুই ওভারে দুই রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৭ রান, হারিয়েছে ৬ উইকেট। তুশারা ছাড়া সফরকারীদের পক্ষে বাকি দুই উইকেট শিকার করেছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)