রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ট্রফি উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরবর্তী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও হারমানপ্রীত কৌর। সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান এবং আইসিসির প্রধান নির্বাহী অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার জিওফ অ্যালার্ডিস। দুপুরে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপের ফিকশ্চার ঘোষণা করা হয়। মঞ্চের একপাশে রুপালি রঙের ট্রফি। কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এ বছর ৩ থেকে ২০ অক্টোবর, সিলেট ও ঢাকায় টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপ কবে কোথায় কার খেলা, কখন খেলা, মিরপুরে ফাইনাল কবে হবে—ডিজিটাল পর্দায় ফিকশ্চার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অংশগ্রহণকারী ১০ দলের নানা ঢঙে খেলার অ্যাকশন তুলে ধরাও শেষ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মঞ্চে বসেই টি-টোয়েন্টি নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডিস। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে এ দেশের নারী ক্রিকেট অনেক দূর যাবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী প্রজন্মকে ক্রিকেটে উত্সাহিত করবে। নতুন প্রজন্ম তৈরি হবে। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি আর নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরস্কারে বৈষম্য থাকবে না। এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকেই সবার পুরস্কার সমান হবে বলে জানিয়ে দিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী। সবাই কথা বলেছেন, কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক হারমানাপ্রীত ছিলেন নিশ্চুপ। মঞ্চে বসে দর্শকের ন্যায় অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন। তার দিকে কোনো প্রশ্ন যায়নি বলে হয়তো তিনিও অখুশি ছিলেন না।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৯ সালে। ইংল্যান্ডে শুরু। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। চতুর্থ আসরে ২০১৪ সালে প্রথমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। সেবার পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ জিতেছিল বাংলার নারী সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, আয়শা, ফারজানা, সানজিদা, নুজহাত, খাদিজাতুল কুবরা, ফাহিমা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, পান্না ঘোষরা। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি? ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে আমার ডেব্যু হয়নি। আমি নিজেই জানি না যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে তখন আমি দলে খেলতে পারব কি না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলা। যারা খেলবে তারা ভাগ্যবান—বললেন জ্যোতি। ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘২০১৪ সাল ছাড়া কোনো ম্যাচ উইন করতে পারিনি আমরা। এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্যই হবে একটা ম্যাচ জেতা।’
৯ আসরের ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড। পাঁচ দল নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সব খেলা হবে সিলেটে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০১৬-এর চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাছাই থেকে উঠে আসবে একটি দল। তারা খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। সব খেলা হবে ঢাকার মিরপুরে।
নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে টিকিটের ব্যবস্থা করবে বিসিবি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঢাকা ও সিলেটে খেলা হবে। দর্শক বিনা টিকিটে ঢুকতে পারবে না। টিকিট লাগবে কি না, এখনো নিশ্চিত করেনি আইসিসি। তবে বিসিবির সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘ফ্রি টিকিটে কি না, এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করব। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে ওদের (স্কুলের মেয়েদের) মাঠে আনার জন্য। এর জন্য যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই ফ্রি না, টিকিট কিনতে হয়। এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি। আমরা অনেককে অনেক সময় টিকিট দিই সেগুলো কিন্তু ফ্রি না। প্রতিটিই কিনে নিতে হয়।’ অনুষ্ঠান শেষ করেই ভারতীয় অধিয়নায়ক হারমানপ্রীত ও বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি দ্রুত উড়াল দেন সিলেটে। সেখানে চলছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।‘আমাদের প্রথম লক্ষ্যই হবে একটা ম্যাচ জেতা’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ট্রফি উন্মোচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরবর্তী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের নারী ক্রিকেট দলের দুই অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও হারমানপ্রীত কৌর। সঙ্গে ছিলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান এবং আইসিসির প্রধান নির্বাহী অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ক্রিকেটার জিওফ অ্যালার্ডিস। দুপুরে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেলে টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপের ফিকশ্চার ঘোষণা করা হয়। মঞ্চের একপাশে রুপালি রঙের ট্রফি। কাছেই ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এ বছর ৩ থেকে ২০ অক্টোবর, সিলেট ও ঢাকায় টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপ কবে কোথায় কার খেলা, কখন খেলা, মিরপুরে ফাইনাল কবে হবে—ডিজিটাল পর্দায় ফিকশ্চার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অংশগ্রহণকারী ১০ দলের নানা ঢঙে খেলার অ্যাকশন তুলে ধরাও শেষ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মঞ্চে বসেই টি-টোয়েন্টি নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডিস। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। ভবিষ্যতে এ দেশের নারী ক্রিকেট অনেক দূর যাবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী প্রজন্মকে ক্রিকেটে উত্সাহিত করবে। নতুন প্রজন্ম তৈরি হবে। পুরুষদের টি-টোয়েন্টি আর নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরস্কারে বৈষম্য থাকবে না। এবারের নারী বিশ্বকাপ থেকেই সবার পুরস্কার সমান হবে বলে জানিয়ে দিলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী। সবাই কথা বলেছেন, কিন্তু ভারতীয় অধিনায়ক হারমানাপ্রীত ছিলেন নিশ্চুপ। মঞ্চে বসে দর্শকের ন্যায় অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন। তার দিকে কোনো প্রশ্ন যায়নি বলে হয়তো তিনিও অখুশি ছিলেন না।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হয় ২০০৯ সালে। ইংল্যান্ডে শুরু। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়। চতুর্থ আসরে ২০১৪ সালে প্রথমবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। সেবার পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ জিতেছিল বাংলার নারী সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, আয়শা, ফারজানা, সানজিদা, নুজহাত, খাদিজাতুল কুবরা, ফাহিমা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, পান্না ঘোষরা। শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি? ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে আমার ডেব্যু হয়নি। আমি নিজেই জানি না যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে তখন আমি দলে খেলতে পারব কি না। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপ খেলা। যারা খেলবে তারা ভাগ্যবান—বললেন জ্যোতি। ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘২০১৪ সাল ছাড়া কোনো ম্যাচ উইন করতে পারিনি আমরা। এবার আমাদের প্রথম লক্ষ্যই হবে একটা ম্যাচ জেতা।’
৯ আসরের ছয় বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড। পাঁচ দল নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সব খেলা হবে সিলেটে। অন্যদিকে বাংলাদেশ, প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০১৬-এর চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং বাছাই থেকে উঠে আসবে একটি দল। তারা খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। সব খেলা হবে ঢাকার মিরপুরে।
নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে টিকিটের ব্যবস্থা করবে বিসিবি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঢাকা ও সিলেটে খেলা হবে। দর্শক বিনা টিকিটে ঢুকতে পারবে না। টিকিট লাগবে কি না, এখনো নিশ্চিত করেনি আইসিসি। তবে বিসিবির সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, ‘ফ্রি টিকিটে কি না, এখন বলা মুশকিল। তবে আমরা চেষ্টা করব। ফ্রি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে বোর্ড নিজের উদ্যোগে চেষ্টা করবে ওদের (স্কুলের মেয়েদের) মাঠে আনার জন্য। এর জন্য যদি পেমেন্ট করতে হয়, বোর্ড করবে, ওদের পক্ষ থেকে পেমেন্ট করতে হবে না। বিশ্বকাপের কোনো টিকিটই ফ্রি না, টিকিট কিনতে হয়। এই মেসেজটা আমি সবার জন্যই বলছি। আমরা অনেককে অনেক সময় টিকিট দিই সেগুলো কিন্তু ফ্রি না। প্রতিটিই কিনে নিতে হয়।’ অনুষ্ঠান শেষ করেই ভারতীয় অধিয়নায়ক হারমানপ্রীত ও বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি দ্রুত উড়াল দেন সিলেটে। সেখানে চলছে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)