শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শ্রীলঙ্কার আঙ্গিনায় অনুষ্ঠিত হয়ে ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেবার ঘরের মাটিতে লঙ্কানরা ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করে জায়গা করে নিয়েছিল ফাইনালে। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ের ম্যাচে জয়াবর্ধনে-সাঙ্গাকারাদের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে বিপাকে পড়েছিল ক্যারিবীয়রা। জনসন চার্লস ও ক্রিস গেইলকে নিয়ে গড়া বিধ্বংসী ওপেনিং জুটি ভেঙে যায় ষষ্ঠ ওভারেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন কেবল ১৪। এরপর একে একে ব্যর্থ হয়েছিলেন ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেলরাও। তবে ক্যারিবীয়দের হয়ে সেই ম্যাচে চীনের মহাপ্রাচীর হয়েই অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন মারলন স্যামুয়েলস।
ক্যারিবীয় এই তারকা ব্যাটার সেদিন ব্যাট হাতে খেলেন ৫৬ বলে ৭৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি। এ দুজনের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ছোট এ লক্ষ্যই তাড়া করতে পারেনি লঙ্কানরা। তিলকারত্নে দিলশান, সাঙ্গাকারারা ব্যর্থ হলে লঙ্কানরা অলআউট হয়ে যায় ১০১ রানেই। আর অলআউট করার পথে সেদিন বল হাতে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছিলেন স্যামুয়েলস। দলের শিরোপা জয়ের পথে অলরাউন্ড নৈপূণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি।
এরপর ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের পথেও জড়িয়ে আছে স্যামুয়েলসের নাম। কলকাতার ইডেন গার্ডেনে হওয়া ফাইনালে ক্যারিবীয়দের প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশরা সংগ্রহ করেছিল ১৫৫ রান। এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আরও একবার ফাইনালে ব্যর্থ হন জনসন চার্লস ও ক্রিস গেইল।
সেদিন আরও ব্যর্থ হয়েছিলেন লিন্ডা সিমনস, আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন সামিরা। তবে আরও একবার ক্যারিবীয়দের ত্রাতা হয়ে ওঠেন স্যামুয়েলস। সেবার ফাইনালে তিনি খেলেন ৬৬ বলে ৮৫ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস। তার স্মরণীয় এই ইনিংসের সুবাদেই দ্বিতীয় শিরোপা জিতে নেয় ক্যারিবীয়রা। ফাইনালের ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইটি শিরোপা জয়ের ইতিহাসে এভাবেই রচিত হয়ে আছে মারলন স্যামুয়েলসের বীরত্বগাঁথা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)