শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ০-২ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে শুরু করে ডর্টমুন্ড। তবে জার্মান ক্লাবটিকে দুর্ভাগাই বলতে হয়। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই মাদ্রিদ রক্ষণভাগকে ফাঁকি দিয়ে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত বল আর জালে জড়ানো হয়নি।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল জিতে রেকর্ড ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ঘরে তুলল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। শিরোপা খরা কাটল না ডর্টমুন্ডের। খালি হাতেই বিদায় নিচ্ছেন মার্কো রয়েস।
প্রথমার্ধে বেশ টালমাটাল মনে হয়েছে মাদ্রিদ রক্ষণভাগকে। ৩৫ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলকিপারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে বসেন ভিনি জুনিয়র। ৪৫ মিনিট শেষে স্কোর ছিল ০-১
দ্বিতীয়ার্ধেও মাদ্রিদের রক্ষণভাগকে ভুগিয়েছে বরুশিয়া। তবে ৬০ মিনিটের পর খেলা গুছিয়ে আনতে শুরু করে কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা।
একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও যখন গোল আসছিল না, বরুশিয়া কোচ তখন ৭২ মিনিটে মাঠে নামান ক্লাব কিংবদন্তি মার্কো রয়েসকে। কিন্তু ৭৪ মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে তারা। রয়েসেরই স্বদেশি টনি ক্রুসের কর্নার কিক থেকে আলতো হেডে বল জালে পাঠান ড্যানি কারভাহাল।
এরপর আরও মরিয়া হয়ে ওঠা মাদ্রিদকে ঠেকাতে বেগ পেতে হয় ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগকে। ৭৯ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বরুশিয়া ডিফেন্ডার ম্যাটস হামেলস। ৮৩ মিনিটে সেই ভিনিই ব্যবধান বাড়ান। ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়া বরুশিয়ার আর ম্যাচে ফেরা হয়নি।
ক্লাব ফুটবলের শেষ ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন মাদ্রিদ তারকা টনি ক্রুস। জার্মান স্নাইপারের দু'টি ফ্রি কিক বরুশিয়া গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল ঠেকিয়ে না দিলে নিশ্চিত গোলের সম্ভাবনা ছিল। এদিকে, তারই স্বদেশি মার্কো রয়েসকে ফিরতে হলো খালি হাতেই।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)