রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
টি-টোয়েন্টি মানেই রানের উৎসব। তবে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপে এসে রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে ব্যাটারদের। অস্ট্রেলিয়া থেকে উগান্ডা, সবখানেই চলছে রানের খরা। তবে উগান্ডার এবং পাপুয়া নিউগিনি ম্যাচ যেন ছাড়িয়ে গেল সবকিছুকে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে এসেই জয়ের দেখা পেয়েছে উগান্ডা। পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে তাদের জয় এসেছে ৩ উইকেটে।
এমন ম্যাচে বোলাররাই শিরোনাম হবেন এটাই প্রত্যাশিত। উগান্ডার ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে রেকর্ডের ভাগিদারও হয়েছেন বোলাররাই। সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে আগেই রেকর্ড করেছিলেন উগান্ডার ফ্র্যাংক এনসুবুগা। এরপর বল হাতে গড়লেন আরও দুই রেকর্ড।
২ উইকেট পেয়েছেন, দুটোই ছিল মেইডেন। বাকি দুই ওভারে দিয়েছেন মোটে ৪ রান। এনসুবুগা তার বোলিং ফিগার শেষ করেছেন ৪-২-৪-২। ৪ ওভারে ১ ইকোনমি রেটে দিয়েছেন ৪ রান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এরচেয়ে কম ইকোনমি রেটে বোলিং করেনি আর কেউই।
এর আগের রেকর্ডটাও হয়েছে এই বিশ্বকাপেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিখ নরকিয়া খরচ করেছিলেন মোটে ৭ রান। সবচেয়ে কাকতালীয় ব্যাপার। দুই বারই প্রতিপক্ষ শিবির অলআউট হয়েছে ৭৭ রানে।
ফ্র্যাংক এনসুবুগার ঝুলিতে অবশ্য যুক্ত হয়েছে আরও দুই রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনো এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট বল দেয়ার ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আজকের স্পেলে মোট ২০ বল ডট দিয়েছেন। তবে এই তালিকায় এনসুবুগা একা নন। শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিসের স্পেলেও ছিল ২০ ডট বল। সেই রেকর্ড মেন্ডিস করেছিলেন ২০১২ এর আসরে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে উইকেট শিকারের তালিকায় ২য় স্থানে আছেন এনসুবুগা। আজকের ম্যাচ খেলার সময় তার বয়স ছিল ৪৩ বছর ২৮২ দিন। এরচেয়ে বেশি বয়সে উইকেট পেয়েছেন হংকং এর রায়ান ক্যাম্পবেল। ২০১৬ বিশ্বকাপে ৪৪ বছর ৩২ দিনে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবীর উইকেট পান তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ওভারপ্রতি সবচেয়ে কম রান উঠেছে এই ম্যাচে। আজকের ম্যাচে ওভারপ্রতি রান উঠেছে ৪.১৩ করে। এর আগে ওভারপ্রতি সর্বনিম্ন রান ছিল শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। সেটিও হয়েছিল এবারের বিশ্বকাপে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)