শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
২০২২ সালের স্মৃতিটাই যেন ফিরে এসেছে পাকিস্তানের কাছে। সেবার ভারত আর জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ম্যান ইন গ্রিনরা। এবারও অনেকটা তাই ঘটেছে পাকিস্তানের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার, এরপর ভারতের বিপক্ষে ৬ রানের অবিশ্বাস্য পরাজয়। বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে আছে বাবর আজমের দল।
তবে দুই ম্যাচ হেরে গেলেও সুপার এইটে যাওয়ার রাস্তা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি পাকিস্তানের জন্য। গ্রুপ ‘এ’ থেকে চার পয়েন্ট পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র আর ২ পয়েন্ট পাওয়া কানাডাকে এখনো টপকে যাওয়া সম্ভব তাদের পক্ষে। যদিও সেজন্য তাদের দরকার হবে যদি-কিন্তুর সাহায্য। সেইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলাফলের দিকে।
প্রথমত নিজেদের পরের দুই ম্যাচেই জিততে হবে পাকিস্তানকে। সেই দুই ম্যাচে জয় পেলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ৪। সেখানে বড় ব্যবধানের জয় দরকার তাদের। কারণ ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার এইটে যেতে হলে রানরেটের বড় ভূমিকা থাকবে। বাবর আজমদের তাই কানাডা ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচ জিততে হবে বড় ব্যবধানে।
যুক্তরাষ্ট্রকে পরের দুই ম্যাচেই হারতে হবে। তাদের ম্যাচ বাকি ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। বাংলাদেশের পর পাকিস্তানকেও হারিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে স্বাগতিকরা। ভারতের বিপক্ষে শক্তিমত্তায় অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও আয়ারল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখতেই পারে তারা। তবে পাকিস্তান চাইবে আইরিশদের জয়। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্যে হিসেব হবে রানরেটের।
আয়ারল্যান্ড এবং কানাডা যেন পরের দুই ম্যাচেই জয় না পায়, সেদিকটাও নজরে রাখতে চাইবে পাকিস্তান। কানাডা খেলবে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে। আয়ারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান। এদের মধ্যে কেবল আইরিশদের এক জয়ই পাকিস্তানের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবে।
‘গ্রুপ ‘এ’ তে বর্তমানে সবার ওপরে আছে ভারত। দুই ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। নেট রানরেট ১.৪৫৫। যুক্তরাষ্ট্র সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। তিনে ২ পয়েন্ট পাওয়া কানাডা। চার এবং পাঁচে থাকা পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড এখনো কোনো পয়েন্টের দেখা পায়নি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)