শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ইউরো শুরুর আগেই ফ্রান্সকে ধরে রাখা হয়েছিল শিরোপার দাবিদার হিসেবে। ২০১৬ সাল থেকেই যেকোন টুর্নামেন্ট এলেই তাতে ফেবারিট হিসেবে জায়গা করে নেয় ফ্রান্সের নাম। ২০১৬ ইউরোর ফাইনাল, ২০১৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন, ২০২২ বিশ্বকাপে রানারআপ- ধারাবাহিকভাবেই দুর্দান্ত ছিল দিদিয়ের দেশামের দল।
এবারের ইউরোতেও এখন পর্যন্ত ফ্রান্স হারেনি কোনো ম্যাচ। দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়াম আর কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে হারিয়ে চলে গিয়েছে সেমিফাইনালে। কিন্তু আসরের সেরা চারে চলে গেলেও ফ্রান্স এখন পর্যন্ত জয় পেয়েছে মোটে ২ ম্যাচে। তারা গোলও করেছে ১টি। সেটাও পেনাল্টি থেকে। অর্থাৎ সেমিতে যাওয়া দিদিয়ের দেশামের দল আসরে এখনও ওপেন প্লে থেকে কোনো গোলই করতে পারেনি।
আসরে ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচ ছিল অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। ম্যাক্সিমিলিয়ান ওবারের আত্মঘাতী গোলে সেদিন জয় নিয়ে ফেরে ফ্রান্স। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন এনগোলো কান্তে। মাঝমাঠে দাঁড়িয়ে একাধিকবার অস্ট্রিয়াকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন এই মিডফিল্ডার। জয়টাও সেদিন নিয়ে এসেছিলেন তিনিই।
পরের ম্যাচে প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ড। সেই ম্যাচটা হয় গোলশূন্য ড্র। সেদিন অন টার্গেট ৩ শট রাখতে পেরেছিল ফ্রান্সের আক্রমণভাগ। গোল আসেনি তাতে। পরের ম্যাচে ফ্রান্স পায় টুর্নামেন্টে নিজেদের একমাত্র গোল। পেনাল্টি থেকে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোল করেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে সেই ম্যাচটাও হয় ড্র। রবার্ট লেভানডফস্কি স্পটকিকে গোল করলে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলের ড্রতে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচে আরেকদফায় ভক্তদের হতাশ করেছেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা। বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১৯ বার গোলে শট নিয়েছে ফ্রান্স। তারমাঝে ১৬ বারই তারা বল মেরেছে পোস্টের বাইরে। মাত্র দুই বার অন টার্গেট শট ছিল তাদের। ৮৫ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল আদায় করেছে ফ্রান্স। র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির শট ইয়ান ভের্টনঘেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে।
১-০ গোলের ওই জয়ের সুবাদে কোনোক্রমে বেলজিয়াম বাঁধা টপকে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল কিলিয়ান এমবাপেরা। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এসেও ইউরোতে এখন পর্যন্ত ওপেন প্লে থেকে গোল করা হলো না ফ্রান্সের। টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের গোল ৩টি। যার দুটি আত্মঘাতী আর একটি পেনাল্টি থেকে।
আসরের ৫ম ম্যাচ ফ্রান্স খেলল গতকাল পর্তুগালের বিপক্ষে। পুরো ম্যাচে ১২০ মিনিট চেষ্টা করেও পর্তুগিজদের বিপক্ষে জালের দেখা পাননি ফ্রান্সের তারকাখচিত দল। এদিন ২০ বার শট নিয়ে পোস্টের বাইরেই মেরেছে ৯ বার। অন টার্গেট শট ৫টি। বিগ চান্স মিস দুবার।
তবে এতকিছুর পরেও টাইব্রেকারে জয় পেল ফ্রান্স। ৫-৩ ব্যবধানের জয়ে তারা টিকিট কাটল সেমিফাইনালের। যদিও এমন ম্যাচকে পুরোপুরি জয় বলার অবস্থা নেই। ফিফার স্বীকৃতি অনুযায়ী, এই ম্যাচ লিপিবদ্ধ থাকবে ড্র হিসেবে। সেমিফাইনালে গিয়েও ফ্রান্সের নামের পাশে তাই ১ জয়ই থাকলো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)