শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় সাফল্যগুলোর একটি ২০১৮ সালে মেয়েদের এশিয়া কাপ জয়। সেবার ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় টাইগ্রেসরা। তবে সবশেষ ২০২২ সালের আসরে সাফল্য পায়নি বাঘিনীরা, বাদ পড়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই। এদিকে চারদিন পরই শ্রীলঙ্কার মাটিতে শুরু হচ্ছে মহাদেশীয় এ প্রতিযোগীতার আসন্ন আসর। এ টুর্নামেন্টে খেলার লক্ষ্যে আগামীকাল দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি, কথা বলেছেন টুর্নামেন্টে তাদের লক্ষ্য এবং প্রস্তুতি নিয়ে।
ঘরের মাঠে নিজেদের সবশেষ দুই সিরিজে একেবারেই ভালো করতে পারেনি বাঘিনীরা। অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে সিরিজে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তারা। তবে এমন ব্যর্থতার পর এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য তারা মুখিয়ে আছেন বলেই জানিয়েছেন জ্যোতি।
জ্যোতি বলেন, ‘শেষ দুটি সিরিজ খারাপ গেছে, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। এরপর আমাদের একটা লম্বা বিরতি গেল, আমরা এ সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছি। সেখানে যারা ভালো করেছে, তাদের আমরা দলে এনেছি। সর্বশেষ ক্যাম্পেও দেখলাম সবাই ভালো ছন্দে আছে। আমরা এখন ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’
এশিয়া কাপ নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘এশিয়া কাপ আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের জন্য অন্য রকম একটা আবেগের জায়গা। ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ জয়ের পর বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে কিন্তু বড় বিপ্লব (রেভল্যুশন) হয়েছে।’ এবারের আসরে টাইগ্রেসদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনালে যাওয়া জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনাল। এর জন্য আমাদের প্রথম ম্যাচটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লম্বা সময় ধরে আমরা ভালো করছি না। কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দেখেছি, কিন্তু দল হিসেবে ভালো করিনি। আমাদের মোমেন্টামের জন্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটা ভালো করে শুরু করতে চাই।’
এদিকে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশের মাটিতেই অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এশিয়া কাপকে তাই আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবেও দেখছেন জ্যতিরা। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ, বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়া যাবে এশিয়া কাপের মাধ্যমে।’
আসন্ন এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের দলে ফিরেছেন জাহানারা আলম ও রুমানা আহমেদ। এই দুই ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে জানিয়ে জ্যোতি আরও বলেন, ‘অভিজ্ঞতা সব সময় কাজে লাগে। তাঁরা দুজনই সর্বশেষ দুটি এশিয়া কাপে খেলেছেন। রুমানা আপু অনেক দিন পর ফিরলেন, জাহানারা আপুও। দুজনই কিন্তু সর্বশেষ ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। এ দুজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আমার মনে হয় দলে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে দেখেছি, তাঁরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন। এটা দলের জন্য সুবিধা হবে।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)