সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দলের টুর্নামেন্ট টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে এখন অব্দি ৪ টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ এইচপি দল। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা দুই ম্যাচে হার, আজ আবার জয়ের স্বাদ পেয়েছে আফিফ-তামিমরা। যেখানে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি (এসিটি) কমেটসকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ এইচপি।
ম্যাচে আগে ব্যাটিং করাঅস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরিকে (এসিটি) মাত্র ১২৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ এইচপি। আর সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই রান তাড়া করে টাইগাররা। তাতে ৬ উইকেটর জয় পায় আফিফ-তামিমরা।
এইচপির বিশাল জয়ের মঞ্চটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল ওপেনিং জুটিতেই। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মাত্র পাঁচ ওভারেই বোর্ডে পঞ্চাশ রান জমা করেন জিশান ও তানজিদ হাসান তামিম। জুটি ভাঙে দলীয় ৫১ রানে, তানজিদের বিদায়ে যিনি করেন ১৫ বলে ১৮ রান।
তবে প্রতিপক্ষে কোনো সুযোগ না দিয়ে দারুণ কিছু শটে রানের চাকা সচল রাখেন জিশান। টার্গেট কম থাকায় ইনিংসের মাঝপথে রানের গতি অবশ্য কিছুটা কমে যায় এইচপির। এক ছক্কায় ৯৫.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ২৩ রান আসে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট থেকে। আর চারে নামা আফিফ হোসেন ১৭ রান করতে বল খেলে ফেলেন ১৮টি।
তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে কাজের কাজটা মূলত করে দেন জিশান। ৩৬ বলে খেলেন ৫০ রান, ইনিংস সাজান ২ ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে। তাতে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেন আকবর ও শামীম হোসেন। এসিটির হয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন জ্যাক স্মিথ।
এর আগে বোলারদের সম্মিলিত প্রয়াসে ইনিংসের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চাপে রাখেন এইচপির বোলার। তাতে বড় একটা অবদান রাখেন দুই পেসার রিপন মন্ডল ও আবু হায়দার রনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি পারেনি কোনো বড় জুটি গড়তে। একশ রানের আগেই চলে যায় ৭ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত টেনেটুনে এসিটি ৯ উইকেট হারিয়ে পার করে ১২০ রান। দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওপেনার মাইকি ম্যাকনামারা। ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে এইচপির সেরা বোলার রিপন। এই সফরে দারুণ ফর্মে আছেন এই তরুণ পেসার। ২৬ রানে ২ উইকেট নেন অভিজ্ঞ পেসার আবু হায়দার। একটি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)