মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২
                        ফাইল ছবি
অনলাইন ডেটিংয়ের জগতে টিন্ডার, বাম্বল নামই সবচেয়ে বেশি শোনা যায়। কিন্তু এতদিন যে ফিচারটি অনেকে তেমন গুরুত্ব দেননি, সেই ফেসবুক ডেটিং এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
২০১৯ সালে চালু হওয়া ফিচারটি নিয়ে তেমন আলোচনায় না থাকলেও সম্প্রতি মেটা প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে এর ব্যবহারকারী সংখ্যা। কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ফেসবুক ডেটিংয়ের দৈনিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ। যা সক্রিয় রয়েছে ৫২টি দেশে।
ফেসবুক ডেটিং আলাদা কোনো অ্যাপ নয়। এটি ফেসবুক অ্যাপের মধ্যেই সংযুক্ত একটি ফিচার। যেখানে ব্যবহারকারীরা সহজেই নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। এমনকি কারও প্রোফাইলে ‘সিঙ্গেল’ স্ট্যাটাস না থাকলেও এই ফিচার ব্যবহার করা যায়।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, তরুণদের মধ্যেও ধীরে ধীরে ফেসবুক ডেটিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন প্রায় ১৭ লাখ ৭৭ হাজার। এটি এখনো টিন্ডার, বাম্বলের সমপর্যায়ে পৌঁছায়নি। কিন্তু বাড়তি আগ্রহ স্পষ্ট।
অ্যাপ অ্যানালিটিকস প্রতিষ্ঠান সেন্সর টাওয়ারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে টিন্ডারের সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় ৭৩ লাখ, হিঞ্জের ৪৪ লাখ, বাম্বলের ৩৬ লাখ এবং গ্রাইন্ডারের ২২ লাখ। তবুও গত এক বছরে ফেসবুক ডেটিংয়ে তরুণদের দৈনিক কথোপকথন বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ, জানিয়েছে মেটা।
এই ফিচারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো- ফেসবুক ডেটিং সম্পূর্ণ বিনা খরচে ব্যবহার করা যায়। হিঞ্জ বা টিন্ডারের মতো এখানে পছন্দের ম্যাচ আনলক করতে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হয় না।
তুলনামূলকভাবে, ফেসবুক ডেটিংয়ের এই ফ্রি মডেল তরুণদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে। অনেকেই বলছেন, অন্য অ্যাপের মতো ‘প্রিমিয়াম’ চাপ বা লুকানো খরচ না থাকায় এখানে যোগাযোগের সুযোগটা স্বচ্ছ ও স্বস্তিদায়ক।
অবশ্য এখনো এটি মূলধারার ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মতো জনপ্রিয় নয়। তবুও ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকারী সংখ্যা ও তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ দেখে বলা যায়— প্রেম খোঁজার অ্যালগরিদমে নতুন এক সম্ভাবনার নাম ফেসবুক ডেটিং।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)