শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১


বিনা টিকিটের যাত্রী ঠেকাতে এবারও কমলাপুরে বাঁশের বেড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:১১ জুন ২০২৪, ১৫:০৫

ছবি সংগৃহিত

ছবি সংগৃহিত

আসন্ন ঈদুল আজহার ট্রেনযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে এবারও নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এবারও টিকিটের ভোগান্তি এড়াতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে।

টিকিট কালোবাজারি এড়ানে নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। টিকিট ছাড়া কেউ যেন স্টেশনে প্রবেশ না করতে পারে সেজন্য এবারও দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া। যা গত ঈদুল ফিতরসহ গত বছরও করা হয়েছিল।

‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নিশ্চিত করতে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কেনার আগে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইপূর্বক রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফলে একজনের টিকিট দিয়ে অন্যজন যাওয়ার কোনো সুযোগই থাকছে না।

যার টিকিট থাকেই যেতে হবে এবং তার সাথে যারা যাবেন তাদের নামও টিকিটে উল্লেখ থাকছে। গত বছর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল নম্বর এবং জন্মতারিখ দিয়ে নিবন্ধন করা যাত্রীর কাছে টিকিট বিক্রি করছে রেলওয়ে। গত ঈদ থেকে যুক্ত হয়েছে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি)। এবারের ঈদেও একই পদ্ধতিতে টিকিট দেওয়া হবে।

প্রতি বছরই ঈদযাত্রার ট্রেনে ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ যাত্রী উঠেন। কামরার ভেতরে গাদাগাদি দাঁড়িয়ে যান বিনাটিকিটের অসংখ্য যাত্রী। এসি বগি বা কেবিনেও ওঠেন তারা। ছাদে, ইঞ্জিনের সামনে, দরজায় দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করেন অনেক যাত্রী। রেলের কর্মীরাও টাকা নিয়ে বিনাটিকিটের যাত্রী তোলারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে টিকিটধারী যাত্রীরা পড়েন চড়ম ভোগান্তিতে। বিনা টিকিটের যাত্রী যাতে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্যই দেওয়া হয়েছে বাঁশের বেড়া।

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের পূর্বের বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাঁশ দিয়ে মোট পাঁচটি প্রবেশর লাইন তৈরি করা হয়েছে৷ এসব লাইন দিয়েই যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ করতে হবে। প্রবেশমুখে টিটিই টিকিট যাচাই করবেন। এছাড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ এবং র‌্যাব আলাদা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে৷ এসব কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে।

এছাড়া কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন স্থানজুড়ে মোট ৯৪টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। স্টেশন ম্যানেজারের অফিস থেকে পুরো স্টেশন এলাকায় নজর রাখা হয়। এছাড়া স্টেশন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ৷

এছাড়াও স্টেশনে ঢোকার প্রত্যেকটি পকেট গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার কেউ যে ফুটওয়ভার ব্রিজের পিলার দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে না পরে সেজন্য কাঁটা তার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারই অনেক যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠার চেষ্টা করে। কাটা তার দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় এবার সেটা সম্ভব হবে না।

এর আগে গত ২ জুন ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করে রেলওয়ে। ওইদিন দেওয়া হয় ১২ জুনের টিকিট। ১৩ জুনের টিকিট ৩ জুন, ১৪ জুনের টিকিট ৪ জুন, ১৫ জুনের টিকিট ৫ জুন এবং ১৬ জুনের টিকিট ৬ জুন বিক্রি করা হয়। ফিরতি যাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয় গতকাল ১০ জুন থেকে। সোমবার দেওয়া হয় ২০ জুনের টিকিট। ২৪ জুন পর্যন্ত রেলের ফিরতি যাত্রা চলবে। এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ৪৩ আন্তঃনগর ট্রেনে আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০। ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে ঈদযাত্রায়।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৫৮ ভোর
যোহর ১১:৪৫ দুপুর
আছর ০৩:৩৬ বিকেল
মাগরিব ০৫:১৫ সন্ধ্যা
এশা ০৬:৩১ রাত

শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪