শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আগামী তিন বছর পর্যন্ত জ্বালানির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাব। অন্যায় ও অযৌক্তিক ব্যয় রোধসহ দেশের জ্বালানি খাতের সংস্কারে ১১ দফা সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ সময় বাংলাদেশ জ্বালানি রূপান্তর নীতি ২০২৪ প্রস্তাবও করে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সংগঠটি। এসব দাবি বাস্তবায়নে নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতা চান বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করেন ক্যাবের আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান (রাজু)।
জ্বালানি খাত সংস্কারের যে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. অন্যায় ও অযৌক্তিক ব্যয় রোধ এবং তিন বছরের মধ্যে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি না করা।
২. জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণ ও জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিত করতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ।
৩. বিইআরসিতে নিয়োগে অংশীজনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সার্চ কমিটি গঠন।
৪. জ্বালানি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির পরিচালনা বোর্ডে ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণ।
৫. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত পরিচালনায় মন্ত্রণালয়ের কর্তৃত্বের অবসান।
৬. বিইআরসির সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে অংশীজনদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ।
৭. বিইআরসিকে সক্ষম করতে মন্ত্রণালয়কে পলিসি রেগুলেটরের দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।
৮. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন ২০১০ বাতিল ও প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগ ও ক্রয়-বিক্রয় আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা।
৯. পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের মূল্যহার নির্ধারণসংক্রান্ত প্রণীধানমালা কার্যকর করা।
১০. লুণ্ঠনমুক্ত মুনাফাবিহীন সরকারি জ্বালানি সেবা নিশ্চিত করা।
১১. জ্বালানি খাতে দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িতদের তালিকা প্রকাশ এবং বিচার নিশ্চিত করা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)