বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশন শিগগিরই চালু হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএলের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রউফ। এছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনও মেট্রোরেল চলবে- এমন ঘোষণাও দেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শনিবার বলেন, কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে আরও আগেই। স্টেশন চালুর কারিগরি নানা দিক আজও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। আগামীকাল ফাইনাল ট্রায়াল দেব।
নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব নিয়েই আবদুর রউফ দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশন চালু এবং শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করার ওপর জোর দিয়েছেন।
কবে এই স্টেশন চালু হতে পারে- এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট না করে আমি বলব, অতি দ্রুত, শিগগিরই চালু হবে। বুধবার আমরা প্রেস কনফারেন্স করব, সেদিন অনেক কিছু জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দ্রুত যাত্রীদের স্বস্তি দেওয়া। এ জন্য সাশ্রয়ী তবে নিরাপদ রক্ষণাবেক্ষণের চেষ্টা চলছে।
তবে মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে আরও কিছু সময় লাগবে জানিয়ে আবদুর রউফ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দ্রুত চালু করার চেষ্টা আমাদের আছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকেলে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরদিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনে।
২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের তখনকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। মিরপুর ১০ স্টেশন ঘুরে দেখে ওই দিন গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংয়ের সময় তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
এক মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ২৫ আগস্ট মেট্রোরেল চালু করা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি চালু করা যায়নি।
দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ডিএমটিসিএল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত- সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে মূলত কম্পিউটার ও স্বয়ংক্রিয় ভাড়া আদায় ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া যে কক্ষ থেকে ট্রেনের আসা-যাওয়া ও সংকেত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হতো এবং চালকের সঙ্গে যোগাযোগ হতো, সেই কক্ষের কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়েছে। এর বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং কাচ ভাঙা হয়েছে।
মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশনে যাত্রীদের টিকিট কাটার জন্য দুই প্রান্তে থাকা ছয়টি ভেন্ডিং মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টিকিট বিক্রির আটটি কাউন্টার ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া স্টেশনের দুদিক থেকেই যাত্রীদের আসা-যাওয়ার ১৬টি স্বয়ংক্রিয় গেটও নষ্ট করা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)