শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি ভবন থেকে ওহাব মাতুব্বর (৭০) নামে এক কেয়ারটেকার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখারকান্দা গ্রামের প্রয়াত চিকিৎসক জামালউদ্দিন খলিফার বাড়ি থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ওই বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত চিকিৎসক জালালউদ্দিন খলিফা ঢাকার পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে তিনতলা একটি ভবন নির্মান করেন। গত বছর তিনি মারা যান। গ্রামের বাড়িতে তার পরিবারের কেউ থাকতেন না। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তবে মাঝে মাঝে তারা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন।
তারা আরও জানান, ওই বাড়িটি ওহাব মাতুব্বর দেখাশোনা করতেন ও একাই থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে বাড়িতে সন্ধ্যার পরে আলো জ্বলেনি। এ কারণে বুধবার রাতে প্রতিবেশীরা মই বেয়ে উপরে উঠে গন্ধ পায়। এরপর ভাঙ্গা থানায় খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে ভবনের দ্বিতীয় তলার বাড়ির ছাদে ওঠার দরজার পাশে ওহাব মাতুব্বরের মরদেহ হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. আসিফ ইকবাল বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওহাব মাতুব্বরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সিআইডির একটি দলও ঘটনাস্থলে রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, সেখানে সিআইডির টিমসহ থানা পুলিশ তদন্ত করছে। ডাকাতির জন্য দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন। বাড়ির একটি আলমারি খোলা অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
# মির্জা সাইমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)