বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
‘ভারতের একতরফা তিস্তার পানি প্রত্যাহারে বিপর্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষি, অর্থনীতি ও বাস্তুসংস্থান। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও পানি প্রত্যাহার বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের হস্তক্ষেপ জরুরি। অন্যথায় তিস্তা নদীর উপর নির্ভরশীল মানুষ, জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য চরম হুমকির মুখে পড়বে’—এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন রিভারাইন পিপল ক্লাবের সদস্যরা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটকের সামনে রিভারাইন পিপল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিমত প্রকাশ করা হয়।
বেরোবি রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শিহাব প্রধানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন—বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিভারাইন পিপল ক্লাবের পরিচালক ড. তুহিন ওয়াদুদ, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উমর ফারুক, নদী সংগঠক ও শিক্ষক খাইরুল ইসলাম পলাশ, নদীকর্মী ও শিক্ষার্থী শামসুর রহমান সুমন, রহমত আলী প্রমুখ।
নদী গবেষক ও সংগঠক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘নদীকেন্দ্রিক কৃষিজমি রক্ষা, ভাঙন রোধসহ চরগুলো রক্ষায় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। নয়তো উজানের পলিতে নদীর বুক ভরাট হলে স্বল্প পানিতে প্রতিবছর অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা যেমন প্রয়োজন, তেমনি তিস্তা নদীর সুরক্ষার বিষয়টিও এখন জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৭৮৭ সালে ভয়াবহ বন্যার সময় তিস্তা নদীর প্রবাহ সৃষ্টি হয়েছিল। ২৩৭ বছর আগে তৈরি হওয়া এ নদীর আজ অবধি কোনো পরিচর্যা করা হয়নি। ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান পর্ব ও বাংলাদেশ যুগের কোনো সময়েই এ নদীর সঠিক পরিচর্যা হয়নি। বরং দফায় দফায় এ নদীর সর্বনাশ করার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে যে নদী হয়ে ওঠার কথা ছিল উত্তরের জীবনরেখা, তা আজ অভিশাপে পরিণত হয়েছে। নদীকে যদি আমরা অভিশাপের হাত থেকে আশীর্বাদে পরিণত করতে চাই, তবে এ তিস্তা নদীর সুরক্ষা অত্যন্ত প্রয়োজন। নদীর ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে আন্তর্জাতিক আদালতে এর প্রতিকার চেয়ে সরকারকে আবেদন করতে হবে।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)