রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চরে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমে ছুরিকাঘাতের চেষ্টা করায় ডাকাত সন্দেহে চারজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছুরি ও চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ।
আটকরা হলেন- বাগেরহাটের মোল্লারহাটের কাচনা এলাকার মৃত সিরাজ মীরের ছেলে সোহরাব মীর (২৫), নুরু মীরের ছেলে মেহেদী মীর (২৪), ভান্ডারখোলা এলাকার মৃত শাহজাহান শেখের ছেলে বশির শেখ (২৮) এবং নগরকান্দি এলাকার কবির শেখের ছেলে রাজু শেখ (২৮)।
জানা গেছে, আজ রোববার ভোরের দিকে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোলচত্বরে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে চারজন ব্যক্তি নামেন। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা তাদের নাম-পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে চারজনের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা মনে হয় স্থানীয়দের। এ সময় উত্তেজিত হয়ে চারজনের একজন হঠাৎ করেই ছুরি বের করে আঘাত করার চেষ্টা করে। এটা দেখে আশপাশের লোকজন চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে চারজনকে আটক করে ফেলে। পরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাকিব নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এরা পাঁচ্চর গোলচত্বরে আসে। চারজন বের হলে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় লোকজন চলে এলে পালিয়ে যেতে পারেনি। তবে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ে অন্যরা পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে আরও ডাকাত সদস্য ছিল। দেশীয় অস্ত্রও থাকতে পারে।
শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বলেন, ভোর ৪টা ২০ মিনিটের দিকে পাঁচ্চর গোলচত্বর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ডাকাতদল ডাকাতি করতে আসছে সন্দেহে স্থানীয় জনসাধারণ গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ডিউটিরত এসআই সালাউদ্দিন, এসআই মিরাজসহ পুলিশ সদস্যরা আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে। তাদের কাছ থেকে ছুরি জব্দ করা হয়। আহতাবস্থায় চারজনকে পুলিশ হেফাজতে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)