শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাল্কহেডের ধাক্কা নয়, ওভারলোড থাকায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে গেছে বলে দাবি করেছে নৌপুলিশ।
ফরিদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আজ (বুধবার) সকালে তলা ফেটে ৯টি ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের অদূরে রজনীগন্ধা ফেরিটি ডুবে যায়। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেরিটি অনেক পুরাতন এবং ওভারলোড থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পণ্যবোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসাইন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছন দিয়ে পানি উঠতে থাকলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডেকে বলি। কিন্তু তারা বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি। তারা ইচ্ছা করলে ফেরিটি দ্রুত স্টার্ট করে তীরে নিয়ে যেতে পারতেন। ফেরিতে কোনো কিছু ধাক্কা দেয়নি। তলা ফেটেই ফেরিটি ডুবে যায়।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাকচালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ফেরিওয়ালাদের গাফিলতিতে ডুবেছে। তারা ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। ঘাটের ২০০ মিটারের কাছে ডুবেছে। তারা এখন বলছে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবেছে।
ফেরিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ফজর আলী জানান, পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে নোঙর করে রাখা হয় ফেরিটি। এ সময় তিনি ফেরিতেই ছিলেন। সকাল ছয়টার দিকে ফেরিতে থাকা একজন বলতে থাকেন ফেরিতে পানি উঠছে। তখন ফেরির নোঙর খুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর ফেরিটি চালু করা হলেও ততক্ষণে পানি উঠে ফেরিটি কাত হয়ে ডুবে যেতে থাকে। এরপর সকাল আটটার দিকে ফেরিটি পানিতে তলিয়ে যায়। তিনি দাবি করেন, অন্য কোনো ফেরি বা নৌযানের ধাক্কার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, এতটুকু তথ্য পেয়েছি যে বাল্কহেডের ধাক্কায় ফেরিটি ডুবে গেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি খতিয়ে দেখা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)