রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মাঘের কন কনে হাড় কাঁপানো শীতে কাঁপছে দিনাজপুর। কয়েকদিন ধরে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে বেড়েছে কুয়াশার দাপট আর হিমেল বাতাস।
জেলা আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার (২০ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ। বাতাসের গতি ০১ নটস। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই উত্তরাঞ্চলের জেলাটিতে বেড়েছে শীতের দাপট। শীতের সকালে ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের পাশাপাশি কুয়াশা বেশি সড়ক মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। এতে দূরপাল্লার পরিবহন চলছে ধীর গতিতে।
এদিকে তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, যাদের পাওয়া যাচ্ছে তাদের দিতে হচ্ছে বেশি টাকা। এতে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন খরচ।
কৃষক শফিউল ইসলাম বলেন, শীত বেশি হওয়ায় বোরো ধানের বীজতলাগুলো হলুদ ও লালচে হয়েছে। যে হারে কুয়াশা হচ্ছে তাতে টেনশনে আছি বীজতলা নষ্ট হলে বোরো ধান লাগাবো কীভাবে।
কৃষক রায়হান সরকার বলেন, আগাম জাতের বোরো ধান রোপণ করব জমিতে। কিন্তু শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। যারা কাজ করছে তাদের মজুরি বেশি দিয়ে কাজে আনতে হচ্ছে। এতে করে বোরো ধানের উপাৎদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
কৃষি শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছি না। এই ঠান্ডা আর বাতাসে কাজ করতে গেলে হাত-পা কোকড়া লাগি যাছে। আবার কাজ না করলে সংসার চলাব কীভাবে খুব কষ্ট করে চলতে হচ্ছে।
আটোচালক সাগর রায় বলেন, দুপুরের আগে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। কারণ গত দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে, দুপুরের পর বিকেল হতে না হতে ফির হারে যাছে সূর্য। মানুষের চলাচল কমছে রাস্তায়, তাই ভাড়া কম, কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শনিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। বাতাসের গতি ১ নটস।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)