রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কয়েক মিনিটের মধ্যে কমলাপুর রেল স্টেশনের প্রবেশের কথা ছিল নেত্রকোণা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটির। বিমানবন্দর স্টেশনে ছেড়ে আসার পর অনেকে হয়তো নামার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। আবার অনেকে ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে আসার পর জেগে থাকা যাত্রীরা হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাদের চিৎকারে চালক তেজগাঁও স্টেশনের কাছাকাছি দ্রুত ট্রেনটি থামালেও অঙ্গার হয়ে যায় চারজনের দেহ।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন যাত্রীদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানান।
তেজগাঁও থানার ওসি জানান, ট্রেনটি নেত্রকোণা থেকে ঢাকায় আসছিল। বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর যাত্রীরা পেছনের বগিতে আগুন দেখতে পান। পরে তারা চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চালক ট্রেনটি তেজগাঁও স্টেশনে থামান।
আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুড়ে যায়। এর মধ্যে একটি বগি থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার জানান, ভোর পাঁচটা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে পাঁচটা ২৫ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
মরদেহগুলোর মধ্যে একটি শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ। এর মধ্যে দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) এবং তার তিন বছরের শিশু সন্তান ইয়াসিন।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রহল্লাদপুর ইউনিয়নের বনখড়িয়ার চিলাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় এক যাত্রী নিহত এবং ট্রেনের লোকোমাস্টার ও সহকারী লোকোমাস্টারসহ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)