বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি যাত্রীবাহী বাস অপর একটি যাত্রীবাহী বাসকে ধাক্কা দিলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে শিশু ও নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্বসদরদী এলাকায় ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম শামসুন্নাহার বেগম (৪০)। তিনি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা এবং পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের স্ত্রী। নিহত শিশুর নাম রাবেয়া (৮)। সে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালি ইউনিয়নের লোডা গ্রামের বাসিন্দা হানিফ গাজীর মেয়ে।
এর মধ্যে শামসুন্নাহার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর শিশু রাবেয়ার চাচা ফিরোজ গাজী বলেন, দুর্ঘটনায় তার ভাতিজি রাবেয়া গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে দুপুর ২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহত ১০ জনকে এলাকাবাসী, ভাঙ্গা দমকল বাহিনীর সদস্য এবং হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো লাইন পরিবহনের একটি বাস শ্যামলী পরিবহনের আরেকটি বাসকে ওভারটেক করার সময় শ্যামলী বাসের ধাক্কায় ইউরো লাইন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানসিফ জুবায়ের বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত ১১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান চালাই। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেকার দিয়ে তোলার সময় কিছু সময়ের জন্য ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)