শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ইভিএমে রের্কড পরিমাণ ভোট বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবারের নির্বাচনে বাতিল ভোটের সংখ্যা এক হাজার ১৪৬টি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেহরাজুল হাসান বলেন, একজন ভোটার চেয়ারম্যান পদে ভোট দিলেও হয়ত অন্য দুটি পদে ভোট দেননি। এ কারণে ওই দুই পদের ভোট বাতিল হয়েছে। ফলাফল সিটেও তাই একেক পদে বাতিল বা না ভোটের সংখ্যাও ভিন্ন।
গতকাল অনুষ্ঠেয় তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হয়। রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলের তালিকায় দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে ৩৯০টি, ভাইস চেয়ারম্যান (নারী) ৪১২টি, ভাইচ চেয়ারম্যান (পুরুষ) ৩৪৪টি ভোট বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া মোট ভোটের সংখ্যা এক হাজার ১৪৬টি। এ ছাড়া ৭১টি কেন্দ্রে ভোট পরেছে ৪৮ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ইভিএম-এ কোনো পদে ভোট প্রদান না করলেই কেবল ভোট বাতিল হয়ে থাকে। তবে, ভোটদানে বিরত থাকার বিষয়টি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হয়। ভোটার যদি ব্যালট ইউনিটের কোনো প্রতীকে ভোট না দিয়ে দুইবার ক্যানসেল (বাতিল) অপশন চাপ দেন, তাহলে তার ভোটটি বাতিল হবে। কেউ না বুঝে এভাবে দুইবার ক্যানসেল অপশনে চাপ দিলেও তার ভোট বাতিল হবে। নির্বাচনে একাধিক ব্যালট থাকলে তার একটির ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটতে পারে, আবার সবকটির ক্ষেত্রেও হতে পারে।
তাড়াশ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জন। গতকাল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৪০১৮৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি চেয়ারম্যান, ২১৭৯৪ ভোট পেয়ে মাহফুজা আকতার নারী ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৪৮৭৯৭ ভোট পেয়ে ম. ম জর্জিয়াস মিলন রুবেল ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)