শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খুলনায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে সৃষ্টি জলোচ্ছ্বাস ও জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। সেই সঙ্গে ভেসে গেছে ৩ হাজার ৬০০টি পুকুর এবং ৯ হাজার ১১৫টি মাছের ঘের। এতে ২৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের এতে ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনার ৯টি উপজেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও রূপসা এই ছয়টি উপজেলার ৩৮টি ইউনিয়নের মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে ওই ছয় উপজেলার ৩৫৫ দশমিক ৩০ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৬০০টি পুকুর এবং ১০ হাজার ২২৩ দশমিক ৭৫ হেক্টর জমির ৯ হাজার ১১৫টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ১ হাজার ৫৯০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৩৫৬টি কাঁকড়া/কুঁচিয়ার খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এবারের ঝড়ে মোট ২৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ৩ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন মাছ, ১১৪ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২ হাজার ৫৬৪ মেট্রিক টন চিংড়ি, ২০ কোটি ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের ৬৩৬ মেট্রিক টন পোনা, ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ১০২ দশমিক ২০ মেট্রিকটন কাঁকড়া/কুঁচিয়া, ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ২৭০ মেট্রিক টন পিএল, ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২০টি নৌকা এবং ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকার অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে খুলনায় মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করেছি। এতে ২৪৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার সাদা মাছ, চিংড়ি, পোনা, কাঁকড়া ও অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)