সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কয়েক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে সিলেটের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক বিভাগসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
সোমবার (৩ জুন) সকাল থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে হাসপাতাল ভবনের নিচতলার প্রায় প্রতিটি কক্ষ পানিতে নিমজ্জিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওসমানী হাসপাতালের নিচতলার প্রশাসনিক ভবন, ২৬, ২৭ ও ৩১নং ওয়ার্ড বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। চিকিৎসকসহ চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও আত্মীয় স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন কক্ষে পানি প্রবেশ করার ফলে অনেক মালামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজন ইউসুফ আলী জানান, ভোর থেকে হাসপাতালে পানি প্রবেশ করেছে। মেঝেতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তড়িঘড়ি করে তাদেরকে বেডে একজনের জায়গায় দুইজনকে রাখা হয়েছে। তাছাড়া ওয়ার্ডে ময়লা-আবর্জনাযুক্ত পানি প্রবেশ করার ফলে চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজের উত্তর পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত ছড়ার আশপাশে বিভিন্ন ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়েছে। এ কারণে ছড়া দিয়ে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক বাসিন্দা পানির প্রবাহ ওসমানী মেডিকেলের একমাত্র ড্রেনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। ফলে ড্রেন উপচে বৃষ্টির পানি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বৈদ্যুতিক উপ-কেন্দ্রে পানি প্রবেশ করে। এছাড়া প্যাথলজি বিভাগ, ২৬, ২৭ ও ৩১নং ওয়ার্ডে হাঁটু সমান পানি রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের নিচতলা পুরোটাতেই পানি ঢুকেছে। গত বছর বন্যার সময় পানি ঢুকে যায়। সংশ্লিষ্টদের বারবার জানানো হলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় বৃষ্টি হলে পানিতে সব প্লাবিত হয়েছে যায়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)