শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
খাগড়াছড়িতে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে সকালে বন্যা দেখা দিয়েছে। বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার।
সদর উপজেলার মেহেদিবাগ, উত্তর-দক্ষিণ গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া, শব্দমিয়াপাড়া, শান্তিনগর, খবং পড়িয়া, কালাডেবাপাড়া, বটতলীসহ অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অনেক এলাকার বাসিন্দারা। মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে গেলেও অনেকে বাসা-বাড়িতে অবস্থান করছেন। তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, সড়ক ও ফসল। বন্যা ও পাহাড় ধসের শঙ্কায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
বটতলী এলাকা বাসিন্দা সুইচিং মারমা বলেন, খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে সকালে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। নিম্মাঞ্চলগুলো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খাগড়াছড়িতে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের একটা দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
শব্দমিয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. ফারুক বলেন, ঘরে কোমর সমান পানি হয়ে গেছে। এখনও ভারী বৃষ্টি ঝরছে। থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে বন্যা বড় আকারে ধারণ করতে পারে। সেইসঙ্গে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
মহালছড়ি উপজেলার ২৪ মাইল সড়ক ডুবে গেলে গতকাল থেকে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, পাহাড় ধস হলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গিয়ে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বলছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. শহিদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন এলাকায় মেয়রসহ জনপ্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেছি। সদরে চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ যাচ্ছে। মেয়র খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)